ASANSOLASANSOL-BURNPURBengali News

বার্ণপুরে সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকার হয়েছিল লুট

বার্ণপুরের এটিএমে টাকা ভরতে আসা কর্মীদের উপরে গুলি চালানোর ঘটনা এখনো অধরা তিন দূষ্কৃতি

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল : আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের রিভারসাইডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা ভরতে আসা বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের উপরে গুলি চালালোর ঘটনায় এখনো অধরা তিন দূষ্কৃতি। প্রায় ২৪ ঘন্টা হয়ে যাওয়া এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ লুঠেরাদের ধরার মতো কোন সূত্র পুলিশ হাতে পায়নি। পুলিশ এটিএমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, যাদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে ও এলাকার বাসিন্দাদের জিঞ্জাসাবাদ করে দূষ্কৃতিদের খোঁজ করছে। বেসরকারি সংস্থার তরফে বুধবার রাতেই ঘটনার কথা জানিয়ে হিরাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ বুধবার রাত নটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছিলো। মোটরবাইকে আসা তিন দুষ্কৃতি কর্মীকে উপর গুলি চালিয়ে সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

 হিরাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে
FILE PHOTO

ঘটনার
খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। গুলিতে আহত সংস্থার কর্মী মকসুদ আলম মল্লিককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয়। জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একটি গুলি তার বাঁ হাতে কনুইয়ে লেগে ছিটকে বেরিয়ে গেছে। জেলা হাসপাতাল থেকে তাকে আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাততঃ তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের খোঁজ


পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিদিনকার মতো বুধবার রাতে রিভারসাইডের ঐ এটিএমে টাকা ভরতে এসেছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। তাদের মধ্যে সব্যসাচী বন্দোপাধ্যায় ও মকসুদ আলম মল্লিক গাড়ি থেকে নেমে একটি ব্যাগে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে এটিএমের মধ্যে ঢুকে শাটার নামিয়ে টাকা ভরছিলেন। বাইরে ছিলেন নিরাপত্তা রক্ষী রবীন রুইদাস। সামান্য দূরে গাড়িতে ছিলেন চালক। সেই সময় তিন সশস্ত্র দুষ্কৃতি বাইকে করে সেই এটিএমের সামনে আসে। তাদের মধ্যে দুজন নিরাপত্তা রক্ষীকে বন্দুক দেখিয়ে শাটার খুলে ভেতরে থাকা দুই কর্মীর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। তাতে মকসুদ আলম মল্লিক বাধা দেয়।

তখন এক দূষ্কৃতি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটা গুলি তার হাতে লাগতেই দূষ্কৃতিরা সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা সহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আশপাশের লোকেরা গুলির শব্দ পেয়ে আসার আগেই বাইকে চেপে তারা পালিয়ে যায়। তিন দূষ্কৃতির মধ্যে একজনের মুখে মাস্ক ও বাকি দুজনের মাথায় হেলমেট পড়া ছিল বলে জানা যায় ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, দূষ্কৃতিরা আগে থেকেই জেনেছিলো যে, কিভাবে কখন এই এটিএমে টাকা ভরা হয়। রাতের দিকে এলাকা একটু ফাঁকা থাকে। তাই তারা সেই সুযোগটাই কাজে লাগায়।


আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বৃহস্পতিবার বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । টাকার ঠিক কতটা ছিলো ও তারমধ্যে কতটা লুঠ করা হয়েছে, তা বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পরে ঐ এলাকা থেকে বেরোনোর সব রাস্তায় নাকা বন্দী করে দূষ্কৃতির খোঁজে তল্লাশি করা হয়েছে। এখনো কারোর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *