কয়লা খনি কমার্শিয়াল মাইনিং এর বিরোধিতায় দেশজুড়ে টানা নয় দিন চলবে আন্দোলন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল :-।
কয়লা খনি কমার্শিয়াল মাইনিং এর বিরোধিতা করে এবং একতরফা কয়লাখনি বন্ধের প্রতিবাদ সহ বার দফা দাবিতে দেশজুড়ে কয়লা শিল্পে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর থেকে ৮ ই অক্টোবর পর্যন্ত ভারতীয় মজদুর সংঘ সহ পাঁচ সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন লাগাতার দেশজুড়ে নয় দিন আন্দোলনের কথা ঘোষণা করল। এতেও যদি সরকার তার সিদ্ধান্ত বদল না করেন তাহলে পুজোর পর কয়লা শিল্পে লাগাতার ধর্মঘটের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন নেতারা।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
এই উপলক্ষে সর্বভারতীয় খনি শ্রমিক ইউনিয়নগুলো র প্রতিনিধিরা ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। তেমনি আসানসোল রবিবার ই সি এলের জয়েন্ট একশন কমিটির অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক সংগঠন ও ভারতীয় মজদুর সংঘের প্রতিনিধিদের নিয়ে একই বিষয় বৈঠক হয়।
ভারতীয় মজদুর সংঘের সর্বভারতীয় নেতা বসন্ত কুমার রাই জানান তার সভাপতিত্বে সর্বভারতীয় খনি শ্রমিক সংগঠন এ আই টি ইউ সির রমেন্দ্র কুমার, হিন্দ মজদুর সভার নাথুলাল পান্ডে ,সিটুর ডিডি রামচন্দ্রন এবং আই এন টি ইউ সির এস কিউ জামা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে ১২ দফা দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ।দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কয়লা শিল্পে কমার্শিয়াল মাইনিং বন্ধ করতে হবে, খনির জন্য নেয়া জমির বিনিময় জমিদাতাদের চাকরি প্রত্যাহারের প্রস্তাব বাতিল করতে হবে, একতরফাভাবে ইসিএল এবং বিসিসিএল সহ বিভিন্ন এলাকায় কয়লা খনি বন্ধ করা যাবে না। জোর করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কর্মীদের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ানো যাবে না । সিএমপিডিআই কে কোল ইন্ডিয়া থেকে পৃথক করা চলবে না। কৃষকের অধিকার কেড়ে নেওয়া তিনটি বিল এবং শ্রমিক বিরোধী বিল প্রত্যাহার করতে হবে।
ঠিক হয়েছে এইসব দাবিগুলি কে সামনে রেখে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর কোল ইন্ডিয়া সহ দেশের সমস্ত কয়লাখনির জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে মিটিং-মিছিল বিক্ষোভ হবে। এছাড়া পয়লা অক্টোবর থেকে সাতই অক্টোবর পর্যন্ত কয়লা খনিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলবে এবং খনি শ্রমিকদের পরবর্তী সময়ে টানা ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য সচেতন ও প্রচার করা হবে ।আর আটই অক্টোবর সমস্ত কয়লাখনির সদরদপ্তর গুলির সামনে বড় ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সভা হবে। অন্যদিকে রবিবার দীর্ঘ সময় ধরে আসানসোলের ইসিএল এলাকার হিন্দ মজদুর সভার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এস কে পান্ডের সভাপতিত্বে সভা হয় । সেখানে সিটুর পক্ষে বিবেক চৌধুরীও সুজিত ভট্টাচার্য ,এ আই টি ইউ সির প্রাক্তন সাংসদ এবং রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র সিং,আই এন টি ইউ সির সাধারণ সম্পাদক চন্ডী বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় মজদুর সংঘের পক্ষে ধনঞ্জয় সিং ও তাপস ঘোষ এবং ইউটিইউসির মাধব বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। রামচন্দ্র সিং বলেন সর্বভারতীয় স্তরে পাঁচ সংগঠনের নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ ই অক্টোবর পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে কয়লা খনি বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ সহ ১২ দফা দাবিতে কিভাবে আন্দোলন হবে তার রূপরেখা তৈরি হল। শুধু তাই নয় এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আমরা কর্মীদের বুঝিয়ে দিতে চাইছি যে আগামী দিনে কয়লাখনির শ্রমিকদের উপরে আরো ভয়ঙ্কর। খাড়া নেমে আসছে। যেখানে তাদের কাজ হারানোর বিষয় সহ খনি জাতীয়করণের আগের অবস্থায় ফিরবে। খোলামুখ খনির নামে একের পর এক গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা দেখবো যদি সরকারের এই আন্দোলনে ঘুম না ভাঙ্গে তাহলে দুর্গাপুজোর পর লাগাতার ধর্মঘটের আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। সিটুর সর্বভারতীয় নেতা গিরিশ শ্রীবাস্তব বলেন এবার আমাদের দাবি-দাওয়ার মধ্যেই শুধু কয়লা শিল্পর শ্রমিকরাই নয় আমরা সাম্প্রতিক কৃষকের অধিকার কেড়ে নেওয়ার এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যে বিল পাস হয়েছে তার বিরুদ্ধেও একযোগে আন্দোলনে কৃষক এবং সমস্ত স্তরের শ্রমিকদের এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পাশে থাকব। এমনসব কৃষক-শ্রমিক বিরোধী কালা কানুন আটকাতে গেলে দেশজুড়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে এটাই বোধহয় এখন সবার বোঝার সময় এসেছে।
![दुर्गापुर से बनारस के लिए खरीदा गया कोयला बीच में हुआ गायब](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2020/09/coal-500x333.jpg)