মাদ্রাসাগুলি লাদেন তৈরীর পাঠশালা
আসানসোলে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সায়ন্তন বসু
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : “পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলিতে ব্যাঙের ছাতার মত মাদ্রাসা গজিয়ে উঠেছে; গ্রামের মানুষের ভাষায় এগুলি আসলে লাদেন তৈরীর পাঠশালা। যতদিন না এই লাদেন স্কুলগুলি বন্ধ হবে ততদিন সীমান্তে এলাকায় সমস্যা থাকবে। পুলিশ জানতে পারল না অথচ এনআইএর টিম এসে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল।এর থেকে পুলিশের অকর্মণ্যতা প্রকাশ পাচ্ছে।
রাজনৈতিক চাপে এবং ভোট ব্যাংকের কারণে এ সমস্ত ঘটনা ঘটছে।” দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদ থেকে সন্দেহভাজন আল-কায়েদা জঙ্গীদের এনআইএ দ্বারা গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সায়ন্তন বসু।
বুধবার আসানসোলের একটি বেসরকারি হোটেলের ব্যাংকেট হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি অরিজিৎ রায় , এছাড়া সুধা দেবী ও অন্যান্যদের নিয়ে একটি সাংগঠনিক বৈঠক করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
বুধবার ২৮ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় দানে বিজেপির সমস্ত অভিযুক্ত খালাস পাওয়ার পর ওই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন,
” তিনি এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছেন। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করেছে আদালত। বাবরি ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত নয়। এটি আচমকা একটি ঘটনা। অভিযুক্ত নেতারা ভিড়টিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিলেন। ফটোগ্রাফিক এভিডেন্স আদালত গ্রাহ্য প্রমাণ নয়। আর সেকারণেই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন সকলেই।”
এদিকে উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণকাণ্ডে তিনি তীব্র নিন্দা করেন এবং কঠোর শাস্তির দাবি করেন অভিযুক্তদের।
এই বিল কৃষকদের নয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্দিন ডেকে আনবে
এছাড়া কৃষি বিল সম্পর্কে বিষয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, “এই বিল কৃষকদের নয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্দিন ডেকে আনবে। এটি কৃষক বিরোধী অবশ্যই নয়।এই বিলের মাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছামত দামে যেকোনো জায়গায় তাদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন। উদাহরণস্বরুপ এতদিন পর্যন্ত আলু কৃষকরা ৫ টাকায় ফড়েদের কাছে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষ সেই আলু ৪৫ টাকায় কিনছিলেন। মাঝখানে ফড়েরা ৩০ টাকা তৃণমূলকে দিয়ে বাকিটা মুনাফা অর্জন করত। কৃষি বিল আসার পর এই দালালরাজ এবং কাটমানিরাজ বন্ধ হবে।”
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কিছুদিন আগে অভিযোগ করেন যে তাঁর পদকে রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে দেখা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের সরকার এবং সংবিধানকে মানেন না। উনার আচরণে মনে হয় যে West Bengal has become an independent state.” এই আচরন কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সামনের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন পাব এবং সরকার প্রতিষ্ঠা করব। আপনারা ছয় মাস অপেক্ষা করুন।”
এরই সঙ্গে তৃণমূলের তরফে প্রায়শই অভিযোগ করা হয় কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির জন্য যুব সমাজ পিছিয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সায়ন্তন বসু প্রতিক্রিয়া দেন,” ঠিকই তো যুবসমাজ পিছিয়ে পড়ছে বলেই বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার ছেলে মেয়েরা চাকরি করতে যাচ্ছে ।আমরা সরকার প্রতিষ্ঠা করলে বাইরের বিজেপি শাসিত রাজ্যে চাকরি করতে যেতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পশ্চিমবঙ্গেই চাকরি করবে।”
ওই বেসরকারি হোটেলের বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপির সহ – সভাপতি সায়ন্তন বসু আসানসোলের উত্তর ধাদকা অঞ্চলের বিজেপি পার্টি অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন।