Asansol কর্পোরেশনের বর্তমান বোর্ডের শেষ বৈঠক
কোনও বোর্ড এত সুন্দর কাজ করেনি: চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি
আসানসোল,বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
বুধবার বিএনআর মোড়ের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল কর্পোরেশনের শেষ বোর্ড বৈঠক শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মাসে যারা পরলোকগমন করেন তাদের আত্মার শান্তির জন্য এক মিনিটের নীরবতা রাখা হয়েছিল।
বোর্ড সভায় এমএমআইসি অভিজিৎ ঘটক বলেন, গত ৫ বছরে কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিছু ওয়ার্ডে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। করোনার সময়, তারা মানুষের পাশে ছিলেন এবং সমস্যার সমাধান করেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পেনশন ক্ষেত্রে কর্পোরেশন কর্তৃক ভাল কাজ হয়েছে। এই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও প্রশাসক বসার পরেও কাউন্সিলররা তাদের এলাকায় জনগণকে প্রাথমিক সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করবেন।
বৈঠকে বিরোধী কাউন্সিলররা বলেন যে, যেখানে ভাল কাজ হয়েছে সেখানে তারা তাদের পক্ষে এবং যেখানে কাজ করেন নি সেখানে কাজ করার জন্য তারা প্রতিবাদ করেছেন।বার্ধক্য পেনশন এবং বিভিন্ন ভাতার বিরোধিতা করেন তারা।
৫ বছরে ৫৩ তম সভা
সভাটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পরে চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের বলেন যে এই বোর্ড সভাটি এই বোর্ডের শেষ সভা ছিল।
এটি গত ৫ বছরে ৫৩ তম সভা ছিল। করোনার মহামারীর কারণে কিছু বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে না, অন্যথায় প্রায় ৬০ টি সভা হত। তিনি বলেন যে, আসানসোলের এত উন্নয়নের কাজ আর কখনও হয়নি। বিরোধী দলের বিরোধীদের মধ্যে এমন কোনও বোর্ড এত সুন্দর কাজ করেনি। এতে আসানসোলের লোকেরা খুব খুশি।
তিনি বলেন যে গত ৯ বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোল সহ রাজ্যেব্যাপী উন্নয়ন কাজ করেছেন। রাজ্যের ৪২ টি প্রকল্পের কিছু পরিকল্পনাও কর্পোরেশন করেন।
এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা কর্পোরেশন থেকে মানুষের হাতে চলে গেছে। একই সাথে তিনি বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমর্থন পেলে জনগণ কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধাও পাবে। তা সত্ত্বেও আসানসোলের চেহারা বদলে গেছে, যা কেউ কখনও ভাবতে পারে না।
তিনি বলেন যে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে আসানসোল এতটাই বদলে গেছে। এ জন্য আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরোপুরি সহযোগিতা রয়েছে।
ওইসময় তিনি বলেন যে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি করোনামুক্ত হয়ে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার তিনি অফিসও এসেছিলেন। হঠাৎ তার শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ায় তিনি বৈঠকে আসতে পারেনি। ডেপুটি-মেয়র তাবাসসুম আরা, কর্পোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুকমল মণ্ডল, এমএমআইসি, বরো চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।