৫ দিন পরে দূর্গাপুর ব্যারাজের লক গেট মেরামতের কাজ শুরু
অবশেষে জলশুন্য : পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বৃহস্পতিবার রাত
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ৪ নভেম্বরঃ অবশেষে জলশুন্য হলো দূর্গাপুর ব্যারাজ। নানা সমস্যা ও জটিলতা পার করে শেষ পর্যন্ত ৫ দিন পরে বুধবার দুপুরে দূর্গাপুর ব্যারাজের ভেঙে যাওয়া ৩১ নং লক গেট মেরামতের কাজ শুরু হলো। দূর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বা ডিএসপির সাহায্যে রাজ্য সেচ দপ্তর এই মেরামতের কাজ করবে। সব কিছু ঠিক থাকলে, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।




তারপর সেচ দপ্তর ডিভিসিকে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার জন্য বলবে। সেইমতো ডিভিসি জল ছাড়বে। সেই জল দূর্গাপুর ব্যারাজে আসতে ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে দূর্গাপুর ব্যারাজে দামোদর নদীর জল স্তর ঠিক হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বৃহস্পতিবার রাত হয়ে যাবে বলে জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তর মনে করছে।
এদিকে, দূর্গাপুর ব্যারাজ জলশুন্য হয়ে যাওয়ায় গত ৫ দিন ধরে দূর্গাপুর পুরনিগম ও পাশের জেলা বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকার জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন, পুরনিগম কতৃপক্ষ ও পিএইচই ট্যাঙ্কার ও পাউচের মাধ্যমে জল দিয়ে বাসিন্দাদের পানীয়জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে। জলের অভাবে দূর্গাপুর ও বাঁকুড়ার দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।
রাজ্য সেচ দপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দাস এদিন বলেন, এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ লক গেট মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। কমবেশি ২০ ঘন্টার মতো সময় লাগবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ, গত শনিবার সকালে আচমকাই দূর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নং লক গেট ভেঙ্গে পড়ে।যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়ে যায় তৃনমুল কংগ্রেস ও বিজেপির নেতা ও সাংসদদের মধ্যে।
তিন বছর আগে ২০১৭ সালে একই ঘটনা ঘটেছিলো। তখন ১ নং লক গেট ভেঙ্গেছিলো। তারপর লক গেট মেরামতের কাজ শুরু হয়। কিন্তু বছর তিনের মাথায় আবার একই ঘটনা ঘটে।