দূর্গাপুর ব্যারাজের লক গেট মেরামতের কাজ শেষ
ডিভিসিকে জল ছাড়ার নির্দেশ রাজ্য সরকারের / শুক্রবার সকালের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ৫ নভেম্বরঃ দূর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নং লক গেট মেরামতের কাজ শেষ হলো বৃহস্পতিবার ঠিক সন্ধ্যার মুখে । বুধবার দুপুরের পরে রাজ্য সেচ দপ্তর লক গেট মেরামতের কাজ করছে। তাদেরকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ডিএসপি বা দূর্গাপুর ইস্পাত কারখানা। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসিকে জল ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। ডিভিসি কতৃপক্ষ জানায়, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বৃহস্পতিবার রাত আটটার মধ্যে ৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ।
মাইথন থেকে জল ছাড়া হবে ৩০০০ কিউসেক জল আর পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হবে ৬০০০ কিউসেক
জানা গেছে, মাইথন থেকে জল ছাড়া হবে ৩০০০ কিউসেক জল আর পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হবে ৬০০০ কিউসেক জল । মোট ১০০ জন সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মী বুধবার রাতভোর ব্যারাজের লকগেট মেরামতির কাজ করেছেন। সেই কাজে যাতে কোন ভাবে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য ব্যারাজের উপরে যানজট আটকাতে ভারি গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয় । জানা গেছে, আপাততঃ ৩১ নং লক গেট সংস্কার করা হয়েছে। পরে এই লক গেট পরিবর্তিত করে নতুন লক গেট লাগানো হবে।
এদিন সকালেই, রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কথা উদ্ধৃত করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন জানিয়েছিলো, দূর্গাপুর ব্যারাজের লক গেট মেরামতের কাজ সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে, দূর্গাপুর পুরনিগমের তরফে ট্যাঙ্কারের সাহায্যে জল ও পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে জলের পাউচ বিলি করা হয়েছে । তবে পুর বাসিন্দারা জানান, জল সরবরাহ হচ্ছে ঠিকই, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেকটাই কম ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মুখে লক গেট মেরামতের কাজ শেষ হলেও, পাইপ লাইনের সাহায্যে এলাকায় এলাকায় জল সরবরাহ রাতের মধ্যে করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । কেননা, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে দূর্গাপুর ব্যারাজে জল আসতে কমপক্ষে ১৮ ঘন্টা সময় লাগবে। তাড়াতাড়ি এলেও ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগবে। তারপর সেই জল তুলে পরিশ্রুত করে জল সরবরাহ করা হবে । সেক্ষেত্রে জল সরবরাহ শুরু হতে শুক্রবার সকাল। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
প্রসঙ্গতঃ, গত শনিবার সকালে দূর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নং লক গেট ভেঙ্গে পড়ে। তারপর থেকে দূর্গাপুর ব্যারাজ জলশুন্য করতে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া বন্ধ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ৫ দিন পরে বুধবার দুপুরে ব্যারাজ জলশুন্য হয়। তার আগে অবশ্য বালির বস্তা ফেলে দামোদর নদীর গতিপথ আটকানোর চেষ্টা করা হয়।