ASANSOL

যারা আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে সংখ্যালঘু প্রার্থীর দাবি করছেন তারা বিজেপির এজেন্ট

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
“যে সমস্ত নেতারা আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে সংখ্যালঘু প্রার্থীর দাবি করছেন তারা বিজেপির এজেন্ট এবং পরোক্ষভাবে বিজেপির হাতি শক্ত করছেন, এই সমস্ত সংখ্যালঘু নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে যা আমরা জেলা প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন রাখছি এবং অন্যথায় তাদের ওপর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরবর্তীসময়ে কলকাতায় তৃণমূল রাজ্য প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন জানাতে তৎপর হব” ঠিক এমন ভাষাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ওপর গোষ্ঠীকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাবাসসুম আরা , তৃণমূল নেতা সৈয়দ আফরোজ,
শাগীর আলাম কাদরী প্রমুখ নেতা।


বস্তুত: কিছুদিন আগেই আসানসোলে কয়েকজন সংখ্যালঘু তৃণমূল নেতা সাংবাদিক বৈঠক করে আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে আগামী ২০২১ বিধানসভায় সংখ্যালঘু প্রার্থী দেবার আবেদন রাখেন।

আর দুই গোষ্ঠীর সাংবাদিক সম্মেলন এবং পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো।
একদিকে কিছু সংখ্যালঘু নেতা তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন যে আসানসোল উত্তর থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তিকে এবার প্রার্থী করা হোক কারণ সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে রয়েছে।

এই দুই পক্ষের একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলছে

প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাবাসসুম আরা আরো বলেন যে, আসানসোল উত্তর ছাড়াও কুলটি ,জামুরিয়া, রানীগঞ্জ প্রভৃতি বিধানসভা এলাকা তো প্রচুর সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস কিন্তু ওই সংখ্যালঘু নেতারা শুধুমাত্র আসানসোল উত্তর থেকেই সংখ্যালঘু প্রার্থী দাবি করছেন যা অবাক করে দিচ্ছে সবাইকে। তিনি বলেন আসানসোলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডে তেমনভাবে সংখ্যালঘু সদস্যর সংখ্যা নামমাত্র। কলকাতার মেয়র একজন সংখ্যালঘু হলেও আসানসোলের মেয়র নন। সে বিষয়ে কোনো আওয়াজ ওঠেনি কারণ শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ রয়েছে। আর সেই বাতাবরণকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

এছাড়া জেলা তৃণমূল মাইনোরিটি সেল এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আফরোজ বলেন, তাদের আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের থেকে এই সংখ্যালঘু প্রার্থীর দাবি তারা দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্বকে জানাতে পারতেন কিন্তু তা না করে তারা সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করছেন যা দলের নিয়মনীতির পরিপন্থী।

রাজ্য তৃণমূল মাইনোরিটি সেল এর জেনারেল সেক্রেটারি শাকিল আহমেদ বলেন তিনিও এই বিষয়টিতে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবেন যাতে অবিলম্বে দল হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি সমাধান করেন নাহলে ভবিষ্যতে দলের ক্ষতি হতে পারে ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সেক্রেটারি শাগির আলম কাদরি বলেন যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যে নেতারা সংখ্যালঘু নেতাকে প্রার্থী করার কথা বলছেন তারা আসলে এমআইএমের মতো বিজেপিকে শক্তিশালী করতে এবং তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।


উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে, রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়ক মলয় ঘটক এমন কাজ করেছেন যা ৩৪ বছরেও হয়নি। তিনি বলেন যে এখনও পর্যন্ত ওই নেতারা উর্দু কলেজের কথা বলছিলেন, এখন যখন মানুষ তাদের এজেন্ডা প্রত্যাখ্যান করেছে, তখন তারা একটি নতুন ইস্যু তৈরী করে মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে চাইছেন। পরবর্তী সময় তারা মলয় ঘটকের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে উন্নয়নের খতিয়ান সাংবাদিক বৈঠক করেন বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *