ASANSOLLatestNationalNewsWest Bengal

বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের ১৪ দিন সিবিআই হেফাজত

বাংলাদেশ সীমান্তে গরু চোরাচালানের মামলা সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
বিএসএফ (BSF) কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের ১৪ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজত দিলেন আসানসোল সিবিআই কোর্টের (CBI COURT) বিচারপতি জয়শ্রী ব্যানার্জী। ফের তাকে ৪ ই ডিসেম্বর আদালতে পেশ করা হবে আদালত থেকে বেরিয়ে বললেন সিবিআই আইনজীবী কালী চরণ মিশ্র।
বস্তুত উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে গরু চোরাচালানের মামলা সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (BSF) কমান্ড্যান্ট (Commandant) সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে (Asansol CBI Court) নিয়ে আসা হয়। লক্ষণীয় বিষয় হল, গরু চোরাচালানের মামলায় জড়িত থাকার কারণে সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে রায়পুরে কর্মরত।

বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের ১৪ দিন সিবিআই হেফাজত

বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল। সেখানে তাকে সাত ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সতীশ কুমার তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না। তাঁর বক্তব্যেও অনেক বৈষম্য ছিল।


মূলত সিবিআই আইনজীবী আদালতকে বলেন সিবিআই এর আগে তাকে সমন পাঠানোর পর তিনি ৩২ দিন কলকাতায় ছিলেন কিন্তু সিবিআই এর কাছে হাজিরা দেন নি। উল্টে তার বিরুদ্ধে সাক্ষীদের প্রভাবিত করবার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআই আইনজীবী। এছাড়া তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হিসাব বহির্ভূত ১৩ কোটি টাকার স্টেটমেন্ট এর কপি আদালতে জম দেয় সিবিআই। এছাড়া তার পুত্রের
একাউন্টের হিসাব বহির্ভূত অর্থের প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই।

গরু চোরাচালানের ঘটনা প্রকাশের পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গো চোরাচালানে সন্ত্রাসী সংগঠন জেএমবির সাথে যোগাযোগ থাকার কেলেঙ্কারিও প্রকাশ্যে এসেছে। । গো পাচারের মূল অভিযুক্ত ইনামুল হকের সাথে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে যে গরু পাচারকারীরা বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র ও নগদ টাকা নিয়ে আসত গরু পাচারের বদলে। লক্ষণীয় বিষয়, সিবিআই এর এই মামলায় বিএসএফ ছাড়াও পাঁচজন শুল্ক অফিসাররের দিকে নজর রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *