সংবিধান দিবসকে সামনে রেখে বিজেপিকে আক্রমণ তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্বর
বেঙ্গল মিরর, .রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৫ নভেম্বরঃ ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সংবিধান দিবস। অন্যদিকে, এদিনই কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী ও শ্রমিক বিরোধী নীতির প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মতো বিভিন্ন সংগঠন। আর এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বুধবার দুপুরে আসানসোলের উষাগ্রামের অগ্নি কন্যা ভবনে জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের ডাকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি ছাড়াও ছিলেন জেলার দুই মুখপাত্র বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ ও আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসনিক বোর্ডর সদস্য অশোক রুদ্র এবং দলের দুই কো-অর্ডিনেটর বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও হরেরাম সিং।
জেলা সভাপতি বলেন, বৃহস্পতিবার সংবিধান দিবস। আমরা তা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে তা পালন করবো। কিন্তু, সংবিধান রচনা করার সময় বাবা সাহেব আম্বেদকর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা কি আজ সত্যি মানা হচ্ছে? দেশের সংবিধানের মতো তার অধিকার পাচ্ছেন? একবারেই কেন্দ্রে থাকা বর্তমানের বিজেপি সরকার সংবিধানই মানেনা। প্রতি ক্ষেত্রে সংবিধানকে ভূলন্ঠিত করা হচ্ছে। বিজেপি সংবিধানই মানেনা। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র সরকার তো রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচিত সরকারকে মানতে চায়না। রাজ্যের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত। তা এখানে হচ্ছে কই। অনেক কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দলের দুই মুখপাত্র তাপস বন্দোপাধ্যায় ও অশোক রুদ্র বৃহস্পতিবারের সাধারণ ধর্মঘট নিয়ে বাম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, এইভাবে ধর্মঘট বা বনধ্ করে কোন সমস্যার সমাধান হয়না। আমরা এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করছি। ২০১১ সালের পরে আমরা বাংলায় বনধ্ বা ধর্মঘটের পথে হাঁটিনি। আমরা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী ও শ্রমিক বিরোধী নীতির প্রতিবাদ ও বিরোধিতা রাজনৈতিকভাবে করছি ও করবো। তারা আরো বলেন, যারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তাদের রাজ্যে কোন অস্তিত্ব নেই।
তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস বা কেকেএসসির সাধারণ সম্পাদক তথা দলের কো -অর্ডিনেটর হরেরাম সিং বলেন, কয়লাখনিতে বৃহস্পতিবার কর্মীরা কাজ করবেন।