পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের গাড়ি ঘিরে অবরোধ
কৃষি বিল আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল রানিগঞ্জ
বেঙ্গল মিরর, দীপ রঞ্জন ব্যানার্জি, রানিগঞ্জ: কেন্দ্রের নতুন কৃষি বিল আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ও আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোবের সামিল হল সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত মজদুর ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠন সিটু কর্মী-সমর্থক। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বিক্ষোভের সময় পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের গাড়ি পথ অবরোধ কর্মসূচির সময় এসে পৌঁছয় সেই গাড়িটা ঘিরেও চলল অবরোধ।
বৃহস্পতিবার রানীগঞ্জের পাঞ্জাবীমোড় এলাকায় পথ অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে যায় এদিন প্রথমে বাম কর্মী-সমর্থকরা বিশাল সংখ্যায় জমায়েত হয়ে রাস্তার ধারে পথসভা কোরে, কেন এই কৃষি বিলের বিরোধ, সে বিষয়ে সবিস্তারে বক্তব্য রাখেন।
পরে তিনটে দশ নাগাদ সিপিএমের , শ্রমিক,কৃষক,ছাত্র,যুব সংগঠনের সদস্যরা একযোগে শামিল হয়ে জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিন কলকাতা থেকে আসানসোল অভিমুখে যাওয়া রাস্তায় মহিলা বিক্ষোভকারীরা বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেখানেই আসানসোল থেকে কলকাতা অভিমুখে যাওয়া রাস্তায় শ্রমিক সংগঠন কৃষক সংগঠনের সদস্য ও যুব সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ করে পথ অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হয়।
আর এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার সাথে সাথে ওই রাস্তায় এসে পড়ে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের যৌথ কনভয়। ট্রাফিক পুলিশ ও রানীগঞ্জ পাঞ্জাবীমোড় ফাঁড়ির পুলিশ একযোগে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে রাস্তা খালি করার চেষ্টা চালালেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা আটকে ধরে পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের গাড়ি গুলি।
গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে, অনেকেই বসে পড়ে
বেশ কিছু সিপিএমের কর্মী সমর্থক এ বিষয়টি লক্ষ্য করে গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে, অনেকেই বসে পড়ে গাড়ির সামনে। শুরু হয় পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি । মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের গাড়িগুলি বেগতিক ঠিক নেই দেখে ফের পিছিয়ে যেতে থাকে। যদিও বিষয়টি লক্ষ্য করে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌছান আসানসোলের প্রাক্তন সংসদ তথা সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী।
তিনি মুহূর্তে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের গাড়ি গুলি আবার তাদের গন্তব্যের দিকে নিয়ে যেতে দিতে তৎপর হন। যদিও পরমুহূর্তে ফের তারা পথ অবরোধ জারি রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যান প্রায় কুড়ি মিনিটের বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা নতুন আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান।