বিজেপি ও তৃনমুল কংগ্রেসের সংঘর্ষে গ্রেফতার ৪, অসিত ও অরিজিতের নামে FIR
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৬ ডিসেম্বরঃ আসানসোলের বারাবনি থানার জামগ্রামে শনিবার বিজেপির মিছিলে হামলার ঘটনায় বিজেপিরই ২ কর্মীকে গ্রেফতার করলো বারাবনি থানার পুলিশ। একই সঙ্গে তৃনমুল কংগ্রেসেরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
রবিবার ধৃতদের ৪ জনকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে জেল হাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতরা হলো রাজেশ সিং, সনু রায়, সুবেদ সাজি ও শামসুদ্দিন সাজি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিজেপির তরফে শনিবার ঘটনায় তাদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগে মোট ২৮ জনের নামে বারাবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে ১৩ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের কাছে।
রবিবার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, দুই তরফে আলাদা আলাদা করে দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে৷
আমি ঘটনার সময় এলাকাতেই ছিলাম না
বারাবনির নেতা তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি অরিজিৎ রায় এদিন বলেন, আমরা মার খেলাম আর আমাদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হলো। আমি ঘটনার সময় এলাকাতেই ছিলাম না। অথচ আমার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মন্ডল সভাপতি সাধন রাউত কালকের ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি । তারও নামে অভিযোগ হয়েছে। এইতো অবস্থা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো।
ঘটনার সময় আমরা তিনজনই এলাকায় ছিলাম না
অন্যদিকে, পাল্টা তৃনমুল কংগ্রেসের বারাবনি ব্লকের সভাপতি অসিত সিং এদিন বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে আমি, আমার ভাই ও জামগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নামে শনিবারের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় আমরা তিনজনই এলাকায় ছিলাম না। এর থেকে তো বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি কি করতে চাইছে। মানুষ এর জবাব দেবেন।
প্রসঙ্গতঃ, শনিবার সকালে বারাবনি থানার জামগ্রাম পঞ্চায়েতের খড়াবোড় ৪ নং মোড় কালি মন্দির সংলগ্ন এলাকা বিজেপি ও তৃনমুল কংগ্রেসের সংঘর্ষে রনক্ষেত্র হয়ে উঠে। বিজেপির অভিযোগ ছিলো, তাদের আর নয় অন্যায়ের প্রচার মিছিল করার কথা ছিলো ঐ এলাকায়। সেই মিছিল বানচাল করতে তৃনমুল কংগ্রেসের দূষ্কৃতিরা বোমা ও বন্দুক নিয়ে হামলা করে। বোমা ও গুলিতে বিজেপির ৬ জন আহত হয়।
অন্যদিকে, তৃনমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এলাকায় দুয়ারে সরকারের শিবির ছিলো। সরকারি সেই শিবিরে যাতে সাধারণ মানুষেরা না যান, তারজন্য আমাদের কর্মী ও সাধারন মানুষের উপরে বিজেপির গুন্ডারা বোমা ও বন্দুক নিয়ে হামলা করে। ৫ টি মোটরসাইকেল ভেঙ্গে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।