ভারত বনধে তেমন প্রভাব পড়লো না আসানসোল শিল্পাঞ্চলে / মিছিলে করলো সিটু / আগুন জ্বালিয়ে ও রাস্তা অবরোধ করে বাস আটকালো কংগ্রেস
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৮ ডিসেম্বরঃ তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের ডাকা মঙ্গলবারের ভারত বনধ বা চাক্কা জ্যামের তেমন কোন প্রভাব পড়লো না আসানসোল শহর সহ গোটা শিল্পাঞ্চলে। বাজার দোকান পাড়া ও এলাকায় এলাকায় খোলে। তবে আসানসোলের বড় বাজার সহ কুলটি বার্ণপুর, রানিগঞ্জ সহ অন্য এলাকায় প্রধান বাজারের বেশীরভাগ দোকান বন্ধ ছিলো। এদিন সকাল থেকেই বেসরকারি বাস ও মিনিবাস পরিষেবা বলতে গেলে সব রুটে বন্ধই ছিলো।
এদিন সকাল এগারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত ভারত বনধ বা চাক্কা জ্যামের ডাক দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু, সাত সকালেই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে পড়েন সিটু, সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। সিটুর কর্মীরা এদিন সকালে আসানসোলের হটন রোড মোড় থেকে মিছিল করেন। আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে সিটু ও সিপিএমের কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাস থেকে জোর করে যাত্রী নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। ছিলেন সিপিএমের নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সমস্ত কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা এদিনের ভারত বনধে আসানসোল শহরের গোধূলি মোড়ে জিটি রোডে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। তারা টায়ার টায়ার জ্বালিয়ে বাস আটকে দেন। কুলটির নিয়ামতপুরে কুলটি ব্লক কংগ্রেসের তরফে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বনধ ঘিরে কোনো অশান্তি না হয় তারজন্য এলাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।