ASANSOLBengali News

খুব তাড়াতাড়ি মাথাও ধরা পড়বে : বাবুল সুপ্রিয়

শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বাবুল সুপ্রিয়র, ভয় পেয়ে নন্দীগ্রামে যাননি

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩১ ডিসেম্বরঃ মানুষদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবেন। তাই ভয় পেয়েই নন্দীগ্রামে যাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সদ্য তৃনমুল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করা শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে বছরের শেষদিনের দুপুরে এইভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল সুপ্রিয় স্ত্রী রচনা সুপ্রিয় ও মেয়েকে নিয়ে আসানসোল স্টেশন রোডের ১৩ নং মোড়ে আরপিএফের পরিচালিত বাবা বাসুকিনাথ সেবা সমিতির নর নারায়ণ সেবায় অংশ নেন। তারা দুঃস্থ মানুষ দের খাবার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের হাতে মাস্ক ও শীতবস্ত্র তুলে দেন।


পরে বাবুল সুপ্রিয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তা সবাই জানেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় সেটা ভাঙ্গিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে আসায়, তার যে সেখানে গিয়ে কিছু হবেনা, তা মমতা বন্দোপাধ্যায় বুঝে গেছেন। তাই সেখান কার কোন একজনের কি শরীর খারাপ হয়েছে, তারজন্য তিনি সভা বাতিল করেদিলেন। এটা কোনদিন হয়? আসল কথা হলো মমতা বন্দোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। আর এখানেই আমাদের ও শুভেন্দু অধিকারীর নৈতিক জয়।

দিদির ভাই ও ভাইপোরা থানায় বসে মোবাইলে তোলাবাজি করে


এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে আরো বলেন, রাজ্যে পুলিশ ও প্রশাসন হাতে রেখে তিনি বাংলায় ক্ষমতায় রয়েছেন। পুলিশ তার পাশ থেকে যদি সরে যায়, তাহলে মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। অনেকটা এইরকম, ” দড়ি ধরে মারো টান, দিদি হবে খানখান”। এখানে দিদির ভাই ও ভাইপোরা থানায় বসে মোবাইলে তোলাবাজি করে। কোন অপরাধ করলে এখানে কোনো দূষ্কৃতি গ্রেফতার হয়না। ২০২১ সালের পরে আমরা ক্ষমতায় এলে সবকিছুই হবে। কোন অপরাধী ছাড়া পাবেনা।

গোটা বাংলার মানুষেরা জানেন বিনয় মিশ্র অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ডানহাত


কয়লা ও গরু পাচারের মামলায় কলকাতার ৪ জায়গায় সিবিআই এদিন সকাল থেকে তল্লাশি করছে। তারমধ্যে রয়েছে তৃনমুল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর বাড়ি। সিবিআইয়ের এই অভিযান চালানো প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, গোটা বাংলার মানুষেরা জানেন বিনয় মিশ্র অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ডানহাত। তার হাতে গরু ও কয়লা পাচারের কোটি কোটি টাকা আসতো৷ সেই সবাইকে টাকা দিতো। সবাই জানে কান টানলে মাথা আসে। খুব তাড়াতাড়ি মাথাও ধরা পড়বে। তিনি বলেন, বর্তমানে যিনি তৃনমুল কংগ্রেসের অন্যতন রাজ্যের মুখপাত্র তিনিই তো আগে বলেছিলেন, সব রাস্তাই কালিঘাটে গিয়ে শেষ হয়। এক্ষেত্রেও তাই হবে। এদিন তিনি আরো একবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে দেশের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখার জন্য তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকার, সজ্জন জালুকা, নির্মল কর্মকার, পবন গুটগুটিয়া, অরিজিৎ রায়, কেশব পোদ্দার ও আরপিএফের অফিসার ও জওয়ানরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *