আবাসন কোম্পানির প্রাতরনার ফাঁদে 1500 মানুষ
বেঙ্গল মিরর, রাজা ব্যানার্জি, আসানসোল : আবাসন কোম্পানির প্রাতরনার ফাঁদে 1500 মানুষ। এক দশক আগে বাড়ি তৈরির জন্য জমি কিনে প্রায় পনেরশো মানুষ সেই জমির মিউটেশন করাতে পারছেন না । অথচ প্রায় চৌদ্দশ মানুষের ওই জমিতে রেজিস্ট্রি হয়েছে । বাকিদের টাকা নিলেও রেজিস্ট্রি ও হয়নি। যে আবাসন কোম্পানির কাছ থেকেই জমি কেনা হয়েছিল সেই কোম্পানি এখন হাত উঠিয়ে নিয়েছেন ।




এই অবস্থায় বুধবার আসানসোলের জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা শাসক কে লিখিতভাবে যাবতীয় তথ্য সহ পনেরশো মানুষের পক্ষে শতাধিক মানুষ এসে বুধবার স্মারকলিপি দেন। যদিও হিন্দুস্তান কেবলস থেকে অবসর নেওয়া দীপেন সোমপ্রথম দিকে জমি কেনেন।তিনি বলেন আজ আমরা আসানসোলের জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দিলাম আমাদের জমিগুলো মিউটেশন করে দেওয়ার দাবিতে ।
কয়েক বছর আগে উত্তর আসানসোল গারুই মৌজায় একটি আবাসন সংস্থার কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় পনেরশো মানুষ অনেক কষ্ট করে জমি কিনে ছিলেন এবং তার রেজিস্ট্রি ও করেছেন। কিন্তু যখন মিউটেশন করতে গেলাম তখন জানতে পারি এইসব জমির মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা আছে এবং মিউটেশন হবে না ।বিষয়টি আমরা ওই এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রি মলয় ঘটক কে জানাই।উনি জেলাশাসক কে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে দেখার জন্য বলেছিলেন।
প্রাক্তন জেলাশাসক আমাদের সমস্ত কাগজপত্র দিলেও কোনো কাজ হয় নি। এরপর আমরা মন্ত্রী সাধন পান্ডের সাথে কথা বলি।উনিও আশ্বাস দেন।কিন্তু কাজ হয় নি।করোনার জন্য প্রায় বছর খানেক চলে যাওয়ার পর বুধবার থেকে আমরা নতুন করে আবার জমি মিউটেশন এর ব্যবস্থা করুক প্রশাসন এই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দীপেন বাবু হিন্দুস্তান কেবলসের স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার প যেটুকু টাকা পেয়েছিলেন তাই দিয়ে জমি কিনেছিলেন। তার মত এমন বার্নপুর ,আসানসোল ,চিত্তরঞ্জন ,অন্ডাল সহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রচুর মানুষ এখানে এক আবাসন প্রকল্প থেকে জমি নিয়ে বাড়ি করার কথা ভেবেছিল। তিনি বলেন আসানসোলের এদিন তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।