ASANSOLBengali NewsLatest

পানীয়জল ও বিদ্যুতের সমস্যা,মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ, স্মারকলিপি

বন্ধ হয়ে যাওয়া বার্ণপুরের বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের কলোনিতে
প্রতিবাদে মিছিল বাসিন্দাদের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২০ জানুয়ারিঃ পানীয়জল ও বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে চরম দূর্যোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন আসানসোলের বার্ণপুরের বন্ধ হয়ে যাওয়া ওয়াগন উৎপাদনকারী কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের ওয়াগন কলোনির বাসিন্দারা। তিন বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে কেন্দ্র সরকার এই সংস্থাকে বন্ধ করে দিয়েছে।

তারপর থেকে চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন বার্ণপুরের ওয়াগন কলোনির তিনশোটি আবাসনে থাকা বাসিন্দারা। যারা এই কলোনিতে পরিবার নিয়ে থাকেন তারা সবাই সংস্থার কর্মী। কেউ সরাসরি সংস্থার কর্মী। কেউ আবার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন।


বুধবার সকালে বার্ণপুরের ওয়াগন কলোনির বাসিন্দারা ( পুরুষদের সঙ্গে বাড়ির মহিলারাও ছিলেন) হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাবি সহ স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন সেই মিছিল আসানসোল আদালত চত্বরে আসানসোলের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা কার্যালয় ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখান। পরে বাসিন্দারা তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মহকুমাশাসকের অফিসে জমা দেন।

যদিও মহকুমাশাসক দেবজিৎ গাঙ্গুলি অফিসে ছিলেন। স্মারকলিপি নেওয়া অফিসার তাদেরকে বলেন, তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসককে অবহিত করবেন। আবাসনের বাসিন্দা সোমা নন্দী এদিন অভিযোগ করে বলেন, আমরা কি করে দিন কাটাচ্ছি, তা আমরাই জানি। কেউ আমাদের দেখেনা। কথা শোনেনা। গোটা কলোনিতে পানীয়জলের সমস্যা। রাত নটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার যোগাড়। বাড়িতে থাকা বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, আমরা পানীয়জলও ঠিকমতো পাইনা। সামনে ভোট। আমাদের সমস্যা না মিটলে, আমরা এবারের ভোট বয়কট করার জন্য ভাববো।


কারখানায় এক সময় কাজ করা শিশির চট্টোপাধ্যায় ও আশীষ বাগ বলেন, একটা লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকে কেন্দ্র সরকার রাজনীতির কারণে বন্ধ করে দিয়েছে। এমনটা নয় যে, দেশে ওয়াগনের চাহিদা নেই। সব আছে। কর্মীদেরকে জোর করে ভিআরএস দেওয়া হয়েছে। চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের কোনকিছু দেওয়া হয়নি। তারা আরো বলেন, আমাদের সমস্যা মেটানো না হলে, আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *