আসানসোল জেলা বিজেপির কার্যালয়ে অরবিন্দ মেনন ও বাবুল সুপ্রিয়র সামনেই চরম বিশৃঙ্খলা ও বাকবিতন্ডায় জড়ালেন কর্মীরা
বেঙ্গল মিরর ,সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২১ জানুয়ারিঃ আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া কাল্লা মোড়ের জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন ও আসা সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সামনেই বিশৃঙ্খলা ও গোষ্ঠী কোন্দলে জড়ালেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। যদিও বৈঠকের আসানসোলের সাংসদের দাবি তেমন কিছুই হয়নি।



বৃহস্পতিবার মুলতঃ আসানসোলের বিজেপি জেলা কার্যালয় বারাবনি ও কুলটি মন্ডলের বুথ স্তরের কর্মী ও নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সর্বভারতীয় সম্পাদক ও আসানসোলের সাংসদের পাশাপাশি ছিলেন জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, নির্মল কর্মকার সহ অন্যান্য জেলা নেতারা। কিন্তু বৈঠক চলাকালীন বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি অরিজিৎ রায়কে কেন্দ্র করে বিরোধিতা শুরু হয়।

সম্প্রতি বিজেপি জেলা যুব মোর্চার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কমিটি থেকে অনেকেই বাদ পড়েছেন বলে এদিনের বৈঠকে যুব মোর্চার একাংশ দাবি করেন। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের দাবি তারা পুরনো বিজেপি কর্মী । কিন্থু তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা কর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েই এদিনের বৈঠকে নব্য ও পুরনো বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ও নেতাদের মধ্যে বিবাদ ও বাকবিতন্ডা লাগে।
বৈঠকের এই পরিস্থিতির খবর বাইরে না ছড়িয়ে পরে সেইজন্য জেলা কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে ভেতর থেকে গন্ডগোলের আওয়াজ আসতে থাকে। চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যায়। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে বিজেপি কর্মীদের একাংশকে দেখা যায় মারতে উদ্যত হতে। শেষ পর্যন্ত মাইক হাতে নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় ও অরবিন্দ মেনন পরিস্থিতি সামাল দেন ও পরবর্তী বৈঠক শুরু হয়। পরে অবশ্য আর কোন গন্ডগোল বৈঠকে হয়নি।
বৈঠক শেষে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, বৈঠকে তেমন কিছুই হয়নি। বড় সংসারে এমন একটু আধটু হয়ে থাকে। সবাই কথা বলতে চাইছিলো। দু/চারজন কথা বলার সময় আরো দশ/বারোজন কথা বলে তাদের চুপ করাতে চাইছিলো। পরে আমরা সবাইকে থামিয়ে সবার কথা শুনেছি। সবাই তাদের কথা বলেছে। এটাই তো গণতন্ত্র। যদি কোন গন্ডগোল বা ঝাঁক হতো, তাহলে কি জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বৈঠক শেষ হতো? তিনি আরো বলেন, বৈঠকে কি আলোচনা করা হয়েছে তা তো বাইরে বলা যাবেনা। তবে আমাদের একটাই লক্ষ্য, তাহলো তৃনমুল কংগ্রেসকে হটানো। তারজন্য দলের একবারের নিচুতলার কর্মী ও নেতাদের কি করতে হবে, তা এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে।