ASANSOLBengali News

শান্ত বাংলাকে অস্থির করার চক্রান্ত করছে BJP : তাপস

প্রায় দেড় মাস পরে আসানসোলে দলের জেলা কমিটির ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে জিতেন্দ্র তেওয়ারি
কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিজেপির সমালোচনা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৩ ফেব্রুয়ারিঃ প্রায় দেড় মাস পরে দলের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন পুর প্রশাসক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বুধবার বিকালে আসানসোলের উষাগ্রামের অগ্নিকন্যা ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি সঙ্গে এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের মুখপাত্র তথা আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা জেলার অন্যতম কো-অর্ডিনেটর হরেরাম সিং।


তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে
দিল্লিতে হওয়া কৃষক আন্দোলনেকে সমর্থন জানিয়ে ও কি ধরনের অত্যাচার কৃষকদের উপরে করা হচ্ছে তার তথ্য তুলে ধরে ও কৃষকদের আতঙ্কবাদী বলায় বিজেপিকে আক্রমন করেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি ।

তিনি আরো বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর চাপা পড়ে যে মারা গেছেন তিনি এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন। তার দাদু শিখদের সম্পর্কে পাঁচটি ধর্মীয় বইও লিখেছেন । সেইসব বইয়ে আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে কথা তিনি বলেছেন। সেই কৃষকদের এখন বিজেপি নেতারা আতঙ্কবাদী বলছেন ।

লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ছিল ” জয় জওয়ান” ” জয় কিষান” । পরে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি বলেছিলেন, ” জয় জওয়ান ” ” জয় কিষান ” ” জয় বিজ্ঞান “।

আজ সেই বিজেপি সেই কৃষকদেরকে তিন কালাকানুন প্রত্যাহারের দাবিতে ঠান্ডায় ও বৃষ্টিতে দিল্লির বসিয়ে দিয়েছেন রাস্তায়। শুধু তাই নয় তারা যাতে আন্দোলন করতে না পারে তারজন্য রাস্তায় পেরেক পোঁতা হচ্ছে। সিমেন্টের পাঁচিল ও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন পুলিশ দিয়ে কৃষকদের হয়রান করা হচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদি বলছেন, কৃষকদের জন্য এই আইন ভালো। আর কৃষকরা বলছেন, এই আইন তারা চান না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষকদের এই আন্দোলনকে ভাঙতে সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেইজন্যেই কৃষকদের এই আন্দোলনকে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারাদেশে চাষিরা ও তৃনমুল কংগ্রেস সমর্থন জানিয়েছে । কেননা এই কালা কৃষক আইন বাতিল করাতে না পারলে দেশের কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ সবার ক্ষতি হবে।


সাংবাদিক সম্মেলনে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সম্প্রতি আমরা হাওড়ায় এক সভায় ভুল জাতীয় সংগীত হলো। আসলে একদিকে ওদের কৃষ্টি সংস্কৃতি অভাব। অন্যদিকে এই শান্ত বাংলাকে অস্থির করার জন্য ওরা বিভ্রান্তি প্রতিমুহূর্তে ছড়াচ্ছে। তারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষকে। এই রাজ্যের সরকার উন্নয়ন প্রচুর করেছে। তাই ওদের তেমন কিছু বলার নেই। তাই তারা সম্প্রীতি নষ্ট করা থেকে শুরু করে বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ সময়মতো এর জবাব দেবেন।

দূর্গাপুরে শিখদের উগ্রবাদী বলে দিল্লির শাসক দলের নামে ব্যানার লাগানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে এদিন তাপস বন্দোপাধ্যায় তার নিন্দা করেন ও বলেন পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এলাকার মানুষ এইসব পছন্দ করেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *