জেলায় শুরু হলো ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ, বুথ বাড়লো ৬০০
দিন ঘোষণা এখনো বাকি
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২১ ফেব্রুয়ারিঃ এখনো নির্বাচন কমিশন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেনি। কিন্তু তার আগেই সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নির্বাচনের কাজের সাথে যুক্ত সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল ।আসানসোলের ডিএভি পাবলিক স্কুল ও সেন্ট জোসেফ এবং দূর্গাপুরের এনআইটিন দূর্গাপুর মহিলা কলেজে জেলা প্রশাসনের তরফে এই প্রশিক্ষণ শুরু হল।
জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে জেলায় বুথের সংখ্যা ৬০০টির মতো বেড়েছে। গত নির্বাচনে বুথের সংখ্যা ছিলো ২৪৪৬। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩০৬৪টি । এইসব বুথে কাজের জন্য ১৫৮১০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলার ডিপিআরডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এই প্রশিক্ষণ ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি । আসানসোলে আর ৬০০ জনের প্রশিক্ষণ হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে থেকে জানা যায়, প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রথম পোলিং অফিসারদের দুবার এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারদের একবার করে প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বুথের সংখ্যা বাড়ার প্রসঙ্গে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বলেন, আগে কোন কোন বুথে ১৪০০ পর্যন্ত ভোটার ছিল। এবার করোনার কারণে একটি বুথে ১০৫০ জনের বেশি ভোটার থাকবে না। তাছাড়াও করোনা বিধি মেনে ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, দূরত্ব বজায় রাখা ও অবশ্যই মাস্ক পড়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হতেই তাদের মধ্যে নানা কারণে অসন্তোষ দেখা গেছে।
অনেক ভোট কর্মী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আধিকারিকদের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কি করে তাদের নাম কাটানো যায়, তারজন্য। কেউ কেউ বলছেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। অনেকে বলেন, করোনার সময় তিনি যেহেতু নিয়মিত কাজ করেছেন তাই তাকে বাদ দেওয়া হোক। আবার কেউ কেউ বলছেন তিনি যে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করেন তার তুলনায় তাকে পোলিং অফিসার না করে প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছে। সেজন্য তার পদ পরিবর্তন করা হোক।
প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য বলছেন, তাদের এই ব্যাপারে কিছু করার নেই। মেডিকেল ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা হাসপাতালের নির্দিষ্ট মেডিকেল বোর্ড যদি ভোটের কাজ বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে, সে ক্ষেত্রেই একমাত্র নাম বাদ হতে পারে।