দোষ না করলে ভয় পাওয়ার কি আছে : অগ্নিমিত্রা পাল
আসানসোলে ” বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” র অনুষ্ঠানে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ ফেব্রুয়ারিঃ যদি কোন দোষ না করে থাকেন, তাহলে ভয় পাওয়ার কি আছে? নোটিশ আসতেই পারে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে কয়লা পাচারের মামলায় সিবিআইয়ের নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে সোমবার আসানসোলে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” কমিটির পক্ষ থেকে আসানসোলের রেলপারের ডিপোপাড়া সংলগ্ন বেলডাঙা মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে ৫০০ জন শিশুকে শিক্ষামূলক স্টেশনারি জিনিস ও কেক দেওয়া হয়।
সেই অনুষ্ঠানে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ” বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও”র রাজ্য আহ্বায়ক সোনা ভদ্রা, দ্বীতিয়া কৌর,
আসানসোল মহিলা মোর্চা জেলা সভাপতি পাপিয়া পাল সহ অন্যান্যরা।
সেই অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অগ্নিমিত্রা পাল আরো বলেন, কয়লা ও গরু পাচারের মামলায় সিবিআই ঠিক পথে তদন্ত করছে বলেই তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। এই পাচার যে এক বা দুজনের মধ্যে দিয়ে হয়নি, তা সবাই বুঝতে পারছেন। এর পেছনে অনেকেই আছে। আমরা তা তো জানিনা। সিবিআই তদন্ত করে সেটা বার করার চেষ্টা করছে। সিবিআই মিস্টার বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত গেছে। তার স্ত্রীর মাধ্যমে বিদেশের ব্যাঙ্কে টাকা গেছে, তা জানার পরেই তো, সিবিআই তাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। লালাকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, এরপরের যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জেতে তো জিতবে। আমরা জানতে চাই কয়লা ও গরুর কোটি কোটি টাকা কোথায় গেছে।
বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী দাবি করেন, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের কোন প্রভাব পড়বে না। গোটা দেশের কৃষকরা তো এই আইনের বিরোধিতা করেছেন না।পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মতো দু/একটি রাজ্যের কৃষকরা আন্দোলন করছেন। তারা চাইছে দেশে একটা গন্ডগোল করতে। তাদের উদ্দেশ্য নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করা। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য বাংলার কৃষকরা কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেননা।