ASANSOL

জেলার ৯টি বিধানসভায় অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৩, স্পর্শকাতর বুথ ৮২৭

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯টি বিধানসভায় অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৩টি। শতাংশের হারে মোট বুথ বা ভোট গ্রহন কেন্দ্রের ২৪ শতাংশ। একইভাবে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা জেলায় ৮২৭টি। শতাংশের হারে তা ২৭ শতাংশের বেশি। শনিবার দুপুরে আসানসোলে জেলাশাসকের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি ও আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন।

মোট ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৪৯


জেলাশাসক আরো বলেন, জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ৩০৬৪। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবারে জেলায় বুথের সংখ্যা ৬১৮ টি বেড়েছে। এর আগে বুথের সংখ্যা ছিলো ২৪৪৬ টি। জেলার ৯টি বিধানসভায় এবারে মোট ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৪৯ জন। যারমধ্যে পুরুষ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৬৯ জন ও ১০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৩২ জন। জেলায় থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৪৮। জেলাশাসক বলেন, এই জেলায় নতুন ভোটার ও সংশোধিত ভোটার কার্ড বা সচিত্র পরিচয় পত্র তৈরী হয়েছে ১লক্ষ ২৭ হাজার। এদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভোটার কার্ড বিতরণ এ্যাপসের মাধ্যমে ভোটারদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এবারে ভোটে জেলায় ৪৫০ টি এমন বুথ আছে, যেগুলোতে সব ভোট কর্মী মহিলা থাকবেন। মহিলা ভোট কর্মীদের কাজ করতে যাতে কোন রকম সমস্যা না হয়, তারজন্য তাদের বাড়ির কাছে কোন বুথে দেওয়া হবে। এছাড়াও দেখা হবে, ঐসব বুথে যেন পানীয়জল ও শৌচালয় সহ অন্য সব পরিকাঠামো থাকে।


জেলাশাসক বলেন, এবারের ভোটে জেলায় ভোটের কাজ করার জন্য ভোট কর্মীর সংখ্যা ছিলো ১৫ হাজার ২৩০ জন। যারমধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৩ শতাংশ বা ১৫০০ র তো ভোট কর্মী প্রশিক্ষণ নিতে আসেননি। তাদেরকে কমিশনের নির্দেশ মতো কারণ দর্শানোর জন্য শোকজ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যদি শোকজের জবাব না দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পুলিশ কমিশনার বলেন, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি বা এ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে এমন ৪৬৫ জনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। প্রত্যেক থানাকে এদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত ৩২ টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জেলায় ৪৩ টি নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে আন্তঃজেলা, আন্তঃরাজ্য ও নদী নাকা পয়েন্ট। সব জায়গায় কড়া নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি অতি স্পর্শকাতর ও স্পর্শকাতর এলাকায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রুট মার্চ শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *