ASANSOLBengali NewsPoliticsPOLL 2021

করোনা ভ্যাকসিনের আলাদা দাম নিয়ে আসানসোলের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্র সরকারকে আক্রমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২২ এপ্রিলঃ কেন করোনা ভ্যাকসিনের দাম দাম আলাদা আলাদা হবে? “এক দেশ, এক জাতি”র কথা বলা হচ্ছে। অথচ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে পৃথক দাম। বৃহস্পতিবার দুপুরের আসানসোলের সেনরেল স্টেডিয়ামে আসানসোল উত্তর ও বারাবনি বিধান সভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর সমর্থনে এইভাবেই করোনা ভ্যাকসিনের দাম প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার যখন ভ্যাকসিন কিনবে তখন তার দাম ১৫০ টাকা। রাজ্য সরকার কিনলে তার দাম ৪০০টাকা আবার সেই ভ্যাকসিন বেসরকারি সংস্থা কিনলে তার দাম ৬০০ টাকা। আমি আজকেও চিঠি লিখেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।জানতে চেয়েছি একই ভ্যাকসিনের দাম আলাদা আলাদা দাম হবে কেন। এতে গরীব মানুষ তো কাঁদতে কাঁদতে মরবে। সবার জন্য ভ্যাকসিনের একটাই দাম হওয়া উচিত। আমরা প্রথমেই বলেছিলাম নিজেরাই ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যের মানুষকে দেবো ।

সেটাও কেন্দ্র প্রথমে করতে দেয়নি । গত ছয় মাস ধরে করোনা নিয়ে কোন পরিকল্পনায় করেনি কেন্দ্র সরকার। তারজন্য আজ এই অবস্থা । বার বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের প্রচারে বাংলায় আসছেন, বাংলাকে দখল করবে বলে। বাংলার সম্পদ লুট করব, এসব নিয়ে ভাবছেন ও কথা বলছেন। ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের দেশ জুড়ে যে এত অভাব আছে। তা নিয়ে যে পরিকল্পনা করার কথা ছিল সেইসব কিছুই করেননি। এমনকি আমাদেরও জানান নি যে এমন সংকট হতে পারে।


মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আসানসোলে আসার পথে শুনলাম কেন্দ্রীয় বাহিনী আবার অশোকনগরে গুলি চালিয়েছে। এখানে আসার আগে মালদহতে আমার সভা ছিল। সেখানে একটু বেশি লোকজন হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ আমি দেখলাম কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠি চালাচ্ছে। আমি বারন করলাম। বললাম লাঠি চালাবেন না । লাঠি চালানো বন্ধ করুন । ওরা ওদের খুশিমতো গুলি চালাচ্ছে। ওদের খুশিমতো লাঠি চালাচ্ছে । এভাবেই এর আগে এরা পাঁচ জনকে গুলি করে মেরেছে। গুলি কাণ্ডে আমরা এফআইআর করবো। তদন্ত করা হচ্ছে। যারা গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে বা গুলি চালিয়েছে তাদের শাস্তি হবেই। আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আবারো অনুরোধ করবো আপনারা ভোটের যাতে শান্তি বজায় রেখে মানুষ ভোট দিতে পারে সেই কাজটুকু করুন। নিজেদের রাজধর্ম পালন করুন। জোর করে কোথাও এমন কিছু করবেন না যাতে অসুবিধে হয় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাওয়া মানুষের কাছে ।


একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ওরা কয়েকটা সিটে রিগিং করানোর চেষ্টা করছে। আর নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে কয়েকটা কেন্দ্র জেতার কথা ভাবছে ওরা। এটা চার-পাঁচটা কেন্দ্রে বড়জোর হতে পারে। সব ডিএম ও এসপিকে বদল করে দিয়েছে
এইভাবে ভোটে জেতা যায় না। ওদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে । কেন্দ্রীয় বাহিনী বা নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ওরা কেন ওদের ঠাকুরদাদাও বাংলা দখল করতে পারবে না ।

আমরা কমিশনের কাছে ২৬ ও ২৯ এপ্রিলের দুদফার ভোট একদিনে করতে বলছিলাম করোনার কারণে। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অন্যান্য রাজ্যের নেতারা রোজ আমাদের রাজ্যে আসছেন আর করোনা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ওদের কারণেই এই রাজ্যে করোনা বাড়ছে। আরো বাড়বে। যদি একদিনে ভোট হত হয়তো কিছুটা কমানো যেত। কিন্তু কমিশন তো আমাদের কথা শুনছেন না । যারা বিজেপির হয়ে টাকা নিয়ে অত্যাচার করছে, দালালি করছে, তাদের প্রতি আমরা বিশেষ নজর রেখেছি। গ্যাসের দাম এক হাজার টাকা। কোথায় গেল উজালার বিনা পয়সায় গ্যাস? আমি বিনা পয়সায় আপনাদের চাল দিচ্ছি। আর সেই চাল হাজার দামের গ্যাসে ফুটছে । এবার বিজেপিকে ফুটিয়ে দিন। দাবি তুলুন বিনা পয়সায় গ্যাস চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *