৯টি বিধানসভায় প্রথম দুঘন্টায় ভোট পড়লো ১৭ শতাংশেরও বেশি, ভোট দিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক,অভিযোগের পাল্টা অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৬ এপ্রিলঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯টি বিধান সভা কেন্দ্রে প্রথম দু ঘন্টায় ভোট পড়লো ১৭ শতাংশের সামান্য বেশি। সোমবারের ভোট গ্রহণকে ঘিরে জেলার ৯টি কেন্দ্রেই সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা ছিলো। রাস্তায় রাস্তায় রাজ্য পুলিশকে নিয়ে টহলে ছিলো কেন্দ্রীয় বাহিনী।
জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়, প্রথম দু ঘন্টায় গড়ে জেলার ভোট পড়েছে ১৭.২৪ শতাংশ। তার মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পান্ডবেশ্বরে। মাত্র ১১ শতাংশ
। এদিন সকাল সকাল আসানসোলের চেলিডাঙ্গার বুথে ভোট দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মলয় ঘটক। মলয়বাবু ভোট দেওয়ার পরে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ঐ প্রার্থী বুথে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টের নাম জানতে চাইছে। যা সে করতে পারে না। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীও ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
যদিও বিজেপি প্রার্থী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মন্ত্রীর পাড়ার বুথে এতদিন বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হতো না। এবার একজন মহিলাকে আমরা বসিয়েছি। তাকে তৃনমুল কংগ্রেসের এজেন্ট উতক্ত্য করছিলো। আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করেছি।
অন্যদিকে, রানিগঞ্জের বক্তারনগরের একটি বুথে তৃনমুল কংগ্রেসের বুথ এজেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ টুপি পড়ে বসেছিলো বলে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানান। যদিও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১১ গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ করে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। একইভাবে রানিগঞ্জে তৃনমুল কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিস ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনী জানায়, সেখানে অবৈধ জমায়েত ছিলো। এদিন সকালে বেশ কিছু বুথে ভোট দেরী করে শুরু হয়। জেলা নির্বাচন দপ্তর জানায়, ইভিএমের কিছু সমস্যার কারণে তা হয়েছিলো। পরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।