ASANSOLBengali News

জেলা হাসপাতালে লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ, আপাততঃ দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৮ এপ্রিলঃ করোনার ভ্যাকসিন মিলছে না। তাই বন্ধ পশ্চিম বর্ধমান জেলার অধিকাংশ ভ্যাকসিন সেন্টার। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে বুধবার জানা গেছে, জেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ১২৫টি সেন্টার নির্দিষ্ট রয়েছে। তারমধ্যে ভ্যাকসিনের অভাবে ১১৩টি সেন্টার বন্ধ রয়েছে। বাকি ১২ টি সেন্টার খুলে রেখে কমবেশি করে দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজি বলেন, যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা তাদেরকে এখন ভ্যাকসিন দেওয়ায় অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। এই মুহুর্তে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে মাত্র ২৩ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন আছে। সোমবার এসেছিলো ১৫ হাজার। মঙ্গলবার এসেছে আরো ৮ হাজার।


বুধবার সকাল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অনেক মানুষ লাইন দিয়েছিলেন। তারা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইন দিয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই প্রথমবার ভ্যাকসিন নেবেন বলে এসেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাদেরকে বলা হয় একমাত্র যারা দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসেছেন তাদেরকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অন্য কাউকে এখন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। এরপরেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন ।


এই প্রসঙ্গে পরে হাসপাতাল সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের কিন্তু কিছু করার মেই। এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় ডোজের জন্য যারা এসেছেন তাদেরকে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর প্রথম ডোজ দেওয়ার কথা ভাবা হবে।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমনের জেরে বেহাল অবস্থা আসানসোলের সালানপুর ব্লক হাসপাতালে। যে দু’জন ল্যাব টেকনিশিয়ান এই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতেন তারা দুজনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে বুধবার সকাল থেকে এই হাসপাতালে যাবতীয় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কবে কিভাবে এই ব্যবস্থা চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। ‌ এদিন সকালে যথারীতি করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে লম্বা লাইন পড়েছিল। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত শিট নিজে নাম নথিভুক্ত করার কাজ করছিলেন। ‌

ইতিমধ্যে তার কাছে খবর আসে ল্যাব টেকনিশিয়ান অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল থেকে গাড়ি পাঠিয়ে তাকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা হয়। দ্রুত পরীক্ষা করলে জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। এরপরই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করার মত অভিজ্ঞ আর কেউ নেই। ফলে করোনা পরীক্ষা আপাতত বন্ধ থাকবে। আক্রান্ত ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানকে সনোকা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

কিন্তু জানা যায়, সেই হাসপাতালে একটিও বেড খালি নেই। ফলে বাধ্য হয়ে ওষুধ দিয়ে তাকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে করোনা পরীক্ষা করাতে যাওয়া লোকেরা চরম সমস্যার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। কিন্তু কবে আদৌ এখানে এই পরীক্ষা চালু হবে তা কেউ বলতে পারছেন না।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *