দূর্গাপুর ও বার্ণপুর ইস্পাত কারখানায় মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদন ১৪২৫ টন
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৮ এপ্রিলঃ কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রকের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত উৎপাদক সংস্থা বা কারখানা তরল মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন করতে এগিয়ে এলো। এই প্রয়াসে সামিল হয়েছে দেশের বহু বেসরকারি ক্ষেত্রের ইস্পাত উৎপাদক সংস্থা বা কারখানাও। এই তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কাজে লাগে।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG-20210428-WA0044.jpg?resize=500%2C337&ssl=1)
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ায় আকাল দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। এই নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিমানে উড়িয়ে নিয়ে আসার পাশাপাশি দেশের মধ্যেই তরল অক্সিজেন উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও ইস্পাত মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই ব্যাপারে তার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG_20210428_132814_473.jpg?resize=500%2C322&ssl=1)
এই উদ্যোগের ফলে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষেত্রে তরল অক্সিজেনের উৎপাদন দৈনিক ২ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২৪ এপ্রিল ৩ হাজার ৪৭৪ মেট্রিক টনে গিয়ে দাঁড়ায়। বেশিরভাগ ইস্পাত উৎপাদক সংস্থাই তরল নাইট্রোজেনের উৎপাদন কমিয়ে সেই জায়গায় তরল অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত ২৪ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৮৯৪ মেট্রিক টন অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে। অথচ, মাত্র এক সপ্তাহ আগেও গোটা দেশে দৈনিক তরল অক্সিজেনের উৎপাদনের পরিমান ছিল মাত্র ১৫০০ থেকে ১৭০০ মেট্রিক টন।
২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভিলাই, বোকারো, রাউরকেল্লা, দূর্গাপুর ও বার্নপুরের ইস্পাত কারখানাগুলো থেকে সব মিলিয়ে ৩৯ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাষ্ট্রের এই উদ্যোগে বাংলার দূর্গাপুরের ডিএসপি বা দূর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও বার্ণপুরের আইএসপি বা ইস্কো কারখানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই দুই সংস্থা মিলিয়ে গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ১ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টনেরও বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করেছে। যা এই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনাকে কার্যকর করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে।