মৃত শিক্ষিকার পুত্রের পাশে থাকার আশ্বাস শিক্ষক সংগঠনের
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল । ভোটের আগের দিন ইভিএম মেশিন সহ অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়ার জন্য আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভোট কর্মীদের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ হারালেন সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর পিঠাইকিয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অসীমা মুখোপাধ্যায় । তার মৃত্যুকে সহজে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মেনে নিতে পারছেন না। এই মৃত্যু নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের জেলা সংগঠনের সভাপতি হিমাদ্রি শেখর পাত্র এবং শিক্ষক সংগঠনের নেতা বিপ্লব মন্ডল এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল মৃত শিক্ষিকার পুত্রের সাথে বৃহস্পতিবার দেখা করেন এবং তার মামার সাথে কথা বলে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন ।
পাশাপাশি ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই ভবিষ্যতে যাতে এভাবে জোর করে কোনও অসুস্থ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ভোটের কাজে না পাঠানো হয় এবং এবং ভোট কর্মীদের লাইনে দাঁড়িয়ে এভাবে যাতে চিকিৎসা ছাড়াই কাউকে মরতে না হয় তার জন্য তারা বড় ধরনের আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন ওই সংগঠনের জেলা সভাপতি হিমাদ্রি শেখর পাত্র ।
read also তিন দিনের জন্য শিল্পাঞ্চলের বড় বাস এবং মিনিবাস বন্ধ রাখার ঘোষণা
মাতৃহারা কিশোরের পাশে সমস্ত রকম সহযোগিতা নিয়ে সর্বদা থাকার আশ্বাস দিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির পক্ষে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি হিমাদ্রি শেখর পাতর, সালানপুর ব্লক শিক্ষক নেতা বিপ্লব মন্ডল, চিরদীপ রায়, দেবদাস মাজি প্রমুখ গতকাল গিয়েছিলেন রূপনারায়নপুরে চন্দিম ব্যানার্জীর বাড়ি। মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়া চন্দিম এখন একেবারেই অসহায়। কারন ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার আগের দিন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে তার মা-অসীমা ব্যানার্জীর হঠাৎ প্রয়াণ ঘটেছে।
এদিন চন্দিমের কাছে গিয়ে শিক্ষক সমিতি সমস্ত রকম ভাবে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষ করে অর্থকড়ি বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়ার বিষয়ে যাতে জটিলতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে তারা সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। হিমাদ্রি বলেন বারবার শিক্ষকদের প্রতি কেন এমন অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে প্রশ্ন তুলবো । আমি আমার সংগঠনের প্যাডে ১৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে যাতে ভোটের ডিউটিতে না পাঠানো হয় তার জন্য আবেদন করেছিলাম কমিশনের জেলা আধিকারিক এর কাছে ।
কিন্তু একজনের নাম বাদ দেয়া হয়নি। এদের মধ্যে কয়েকজন সরাসরি আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং কয়েকজন অসুস্থ ছিল। এই অসীমা দেবী তার যে বুকের কষ্ট আছে এবং পেসমেকার বসাতে হবে তা কিন্তু তিনি ভোটের আগে মেডিকেল করাতে গিয়ে সে সব কাগজপত্র চিকিৎসকদের দেখালেও তাকে বাদ দেয়া হয়নি ।তাকে যদি ভোটের কাজে না লাগানো হতো তাহলে তার মৃত্যু হতো না বলে শিক্ষকরা মনে করেন।