ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করল পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল: অনেকেই এসে ফ্ল্যাটের কলিংবেল বাজানোর থেকে শুরু করে নানান ভাবে আওয়াজ করলেও ভেতর থেকে সাড়া মেলেনি । শেষ পর্যন্ত রুপনারায়ণপুরের স্টেশন রোডের এক ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে ভেতর থেকে অশীতিপর এক বৃদ্ধাকে জীবিত অবস্থাতেই উদ্ধার করল পুলিশ। ওই বৃদ্ধার নাম পুষ্পরানি কর্মকার(৮৫)। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।



যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকে একের পর এক কলিং বেলের আওয়াজ বা মোবাইলে ফোন করেও ওই ফ্ল্যাটের দুধওলা, কাজের বৌ এবং প্রতিবেশীরা সারা পাচ্ছিলেন না। প্রতিবেশীদের মারফত খবর পেয়ে কাছাকাছি এলাকার অন্য ফ্ল্যাট থেকে ছুটে আসেন ঐ বৃদ্ধার একমাত্র পুত্রও। খবর পেয়ে পুলিশ ও ছুটে আসে রুপনারায়নপুর ফাঁড়ি থেকে।
সবার উপস্থিতিতে, পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দেখেন বাথরুমের কাছে অসাড় হয়ে পড়ে আছেন বৃদ্ধা পুষ্পরানি কর্মকার। শরীরে তার চোট লেগেছে। রূপনারায়নপুর স্টেশন রোডের ঐ ফ্ল্যাটে একা থাকেন পুষ্প দেবী। তার স্বামী চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার প্রাক্তন কর্মী আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
এদিকে বাড়িতে কাজকর্ম করার লোক থাকলেও সারাক্ষন দেখভালের জন্য কেউ থাকেন না। সামডি রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটে সপরিবার তার পুত্র থাকেন। তিনি চেয়েছিলেন মাকে সঙ্গে নিয়ে সকলেই একত্রে থাকতে কিন্তু সেটা আর সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। মা নিজের মতো করে থাকতেই পছন্দ করতেন। এদিকে গতকাল ভোরে বাথরুমে যেতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান পুষ্প দেবী। তার আর ওঠার ক্ষমতা ছিল না। মোবাইল ফোনও হাতের কাছে নেই।
ফলে ভোর চারটা থেকে বেলা সাড়ে আটটা নটা পর্যন্ত ওইভাবেই তিনি পড়েছিলেন। পুত্রের সহযোগিতায় তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। এই ঘটনায় রূপনায়ারণপুর পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ায় সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে রূপনারায়ণপুর ওসি প্রসেনজিৎ রায় বলেন যেসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একাকী ফ্ল্যাটে থাকছেন তাদের অবশ্যই দেখভালের জন্য সবসময়ের কারো থাকা প্রয়োজন। এই ধরনের একা যারা থাকেন তাদের কোনো সাহায্য দরকার হলে অবশ্যই পুলিশকে জানাতে তিনি বলেছেন।