Narada Case রাজ্য থেকে বাইরে যাবে নাকি নেতারা জামিন পাবেন, আজ হাইকোর্টের নির্দেশের অপেক্ষা,রাজ্যপালকে সরানোর দাবি তৃণমূলের
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : নারদ মামলার (Narada Case) শুনানি কি রাজ্য থেকে বাইরে যাবে বা গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা জামিন পাবেন? এই বড় প্রশ্নের উত্তর আজই কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি শেষে পরিষ্কার হবে। নারদা মামলায় সিবিআই চার রাজ্য নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চ্যাটার্জীকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি নিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি হবে। এই মামলাটির শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চের মাধ্যমে। পুরো দেশ এদিকে নজর দিচ্ছে। এদিকে, রাজ্যপালের অপসারণের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।




অভিষেক মনু সিংভি, সিদ্ধার্থ লুথ্রা এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে আসামিদের পক্ষে লড়বেন
একই সাথে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের পরিবারগুলি পুরো নরদা মামলায় শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেছেন। হ্যাঁ,
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, জেল হেফাজতের আদেশ বহাল রাখতে এবং মামলাটি রাজ্য থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্তের আইনজীবী গ্রেপ্তার হওয়া চার নেতা ও মন্ত্রীর জামিনের আবেদন করবেন। অভিষেক মনু সিংভি, সিদ্ধার্থ লুথ্রা এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে অভিযুক্তদের পক্ষে লড়বেন । সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টে মামলার সমাধান না হলে অভিযুক্তের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা শীর্ষ আদালতে এর প্রসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সোমবার সকালে সিবিআই দুই মন্ত্রী ফিরহাদ, সুব্রত, বিধায়ক মদন এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের প্রথমে নিজাম প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেখানে পৌঁছন। তিনি সেখানে প্রায় ৬ ঘন্টা অবস্থান করেন। বিশেষ সিবিআই আদালতে নিজাম প্যালেস থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই মামলার শুনানি হয়। আদালত ব্যক্তিগত বন্ডে ৪ জনকে জামিনও দেন প্রথমে। তবে এর পরে সিবিআই হাইকোর্টে যায়। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। বুধবার মামলার শুনানির আগে এই চারজনকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো করা হয়। এর পরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ওই চারজনকেই একে একে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Read Also : How to take care of children with COVID-19 symptoms?