পুনর্বাসনকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার অন্ডালের জামবাদ খোলা মুখ কয়লা খনিতে,আগুন বাইকে
বেঙ্গল মিরর, কল্যাণ মন্ডল, অন্ডাল ঃ- পুনর্বাসনের বিষয়কে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার অন্ডালের জামবাদ খোলা মুখ কয়লা খনি এলাকায়।নিমেষেই এই ঘটনায় লাগে রাজনীতির রং। তৃণমূল সিপিআইএম কর্মীদের প্রথম দু এক কথা হতে হতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়, উত্তেজনার পারদ এতটাই ছিল যে বেশ কয়েকটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী, ততক্ষনে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
দিন কয়েক আগে ইসিএলের জামবাদ খোলা মুখ কয়লা খনি এলাকায় ইসিএলের মাইনিং এর জন্য বিস্ফোরণের জেরে পরাশকোল গ্রামে বেশ কিছু বাড়ীতে ফাটল দেখা দেয়, প্রাণ বাঁচাতে এলাকাবাসী বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর পুনর্বাসনের দাবীতে ইসিএলের কাজোড়া এরিয়া অফিসের সামনে পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভে বসে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। পুলিশ এসে সেইবার কোনোক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিষয়টিতে এরপর হস্তক্ষেপ করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, এলাকা পরিদর্শনেও যান বিধায়ক। মঙ্গলবার এলাকাবাসীর পুনর্বাসনের দাবীতে ইসিএল আধিকারিকদের সাথে একপ্রস্থ বৈঠকও হয় ইসিএল আধিকারিকদের। বুধবার এই ইস্যুতে জামবাদ খোলা মুখ কয়লা খনি এলাকায় সবকটি রাজনৈতিক দলগুলি ও ইসিএল আধিকারিকদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তার আগেই পুনর্বাসন না দিয়েই ফের ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে এই খবরকে কেন্দ্র করে নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাতে। তৃণমূল সিপিআইএম কর্মীদের মধ্যে দু এক কথা হতে হতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়, শুরু হয় এলাকা জুড়ে তান্ডব।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, এইবারের পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সুভাষ বাউরি ও তার অনুগামী জয়ন্ত রায়ের নেতৃত্বে এই তান্ডব চলে, মারধর করে তৃণমূল কর্মীদের, এতে আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাইকে। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিআইএম নেতৃত্ব এইদিনকার ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছে। পরিস্তিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ। এইদিকে অন্ডালের পরাশকোল গ্রামের বাসিন্দারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে পুনর্বাসন না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইসিএলের এই খোলা মুখ খনিতে উৎপাদন শুরু করতে দেবেন না। গোটা ঘটনায় এখনও টানটান উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।