ভারতবর্ষের প্রথম পরিবেশবান্ধব রিয়েক্টর মাইথন এসে পৌঁছল

বেঙ্গল মিরর,,দেব ভট্টাচার্জি ,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল ঃ দেশের মধ্যে প্রথম পরিবেশবান্ধব ৫০ মেগা ভোল্ট এম্পিয়ারের ” রিয়েক্টর ” আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের কাছে পাওয়ার গ্রিডের মাইথন পাওয়ার স্টেশনে এলো। সোমবার সেটি এখানে এসে পৌঁছায়। দেশের মধ্যে এই প্রথম একটি সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব রিয়েক্টর এখানে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পাওয়ার গ্রিডের জেনারেল ম্যানেজার উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন শুধু পরিবেশ বান্ধব নয় উন্নত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অর্থাৎ সঠিক ভোল্টেজ দেওয়ার জন্য এই রিয়াক্টর বিশেষভাবে কাজ করবে। কার্বন তৈরীও কমাবে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস আগে গুজরাটের আমেদাবাদে একটি বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হয় এই রিয়াক্টরটি। সেখান থেকে ১২২ চাকার একটি গাড়িতে বিভিন্ন রাজ্য হয়ে সোমবার দুপুরে পৌঁছায় পাওয়ার গ্রিড স্টেশনে।


স্টেশনের ইঞ্জিনিয়ার রাজদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, রিয়াক্টরটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি উদ্ভিজ তেলে চলবে। এতদিন অন্য রিয়েক্টরগুলি খনিজ তেল দিয়ে চলতো । এছাড়াও কার্বন তৈরির পরিমাণ কমে যাবে। যাতে পরিবেশের অবশ্যই উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে । উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় আরো বলেন, পূর্ব ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও বিহারের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়ার গ্রিড বিদ্যুৎ নেয় ও পাঠায়। ভোল্টেজের কারণে সেই ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। এই রিয়েক্টরের কারণে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
তিনি বলেন দেখা যায় বাড়িতে বাড়িতে প্রায়ই সন্ধ্যের পর থেকে ভোল্টেজ অনেক কমে যায়। অথবা অন্য কোন কারণে আচমকা হাইভোল্টেজ এসে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অনেক ক্ষতি করছে। আমাদের ২২০ লাইনের সাব স্টেশনের এই রিয়েক্টরের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই রিয়াক্টরের একটি নিয়মিত ডাটাবেস তৈরি করতে হবে আমাদেরকে। কেননা আগামী দিনে এর ভাল ও মন্দ দুটো দিকই এখান থেকে দেখার পর পরবর্তী এই ধরনের রিয়াক্টর আরো তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের আধিকারিকরা আমাদেরকে জানিয়েছেন তারা এটি এখানে দেখতে আসবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎ এনটিপিসি কহেলগাও, বিহারের বিদ্যুৎ সংস্থা ,ডিভিসির মেজিয়া, রঘুনাথপুর,কিংবা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসে। পরে এখান থেকে সেই বিদ্যুৎ পৌঁছে যায় সমগ্র পূর্ব ভারতে। বিশেষ করে বাংলা, বিহার ও ঝাড়খন্ডে। রুপনারায়ণপুরের মাইথন পাওয়ার গ্রিডের এই স্টেশন দেশের অন্যতম আন্তঃরাজ্য বড়গ্রিড স্টেশন হিসেবে চিহ্নিত।
সম্পাদক মহাশয়,
রিপোর্টিং-এ বাংলা ভাষার এমন শ্রাদ্ধ করা হয়েছ কেন? তা কি আপনার নজর বা এডিটিং ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব এড়িয়েই হয়েছে?
নাকি কমল কুমারের পর বাংলা ভাষার নতুন কোনো রূপ আবিষ্কৃত হতে চলেছে?
ধন্য়বাদ আপনার মতামতের জন্য় আমরা এটাকে গভীর ভাবে দেখবো
Sir please check article replaced