YAAS মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য প্রস্তুত, কেন্দ্র মাত্র ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে: মমতা, মুখ্যমন্ত্রী নিজে কন্ট্রোল রুমে থাকবেন
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : “যশ” ঘূর্ণিঝড় (YAAS) পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন যে তাঁর সরকার এটি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশাকে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ তুলনামূলকভাবে বড় একটি রাজ্য হলেও কেবল ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ঘোষণা করেন। এই সভায় অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে এর আগেও “আমফান” এসেছিল এবং আরও ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তবে তখন কেবল আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সাহায্য দেওয়া হয়নি। এই অর্থ রাজ্য সরকারের অর্থ এবং এটি অগ্রিম দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে আমি যখন বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করি তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে তিনি পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন। এই সিদ্ধান্ত স্টাস্টিকস পদ্ধতিতে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেন যে , আমি পলিটিক্যাল সায়েন্স বুঝতে পারি না।
কন্ট্রোল রুম থেকে ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে
তিনি বলেন যে আগামীকাল থেকে ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ চলবে ৪৮ ঘন্টা। এটি সারাদিন জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে চলবে।পূর্ব ও দক্ষিণ রেলওয়ের কয়েকটি ট্রেন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে এই সিভিয়ার সাইক্লোন ৭২ ঘন্টা চলবে। এখানে ৪০০০ ত্রাণ শিবির রয়েছে। এতে মানুষকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল সেন্টার খোলা থাকবে। তিনি বলেন, তিনি উপকূলের থাকা মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। টিভি ও রেডিও এবং পুলিশের মাধ্যমে সাইক্লোন সতর্কতা প্রচার করা হচ্ছে।
১০ লক্ষ মানুষকে সরানোর টার্গেট
তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদসহ মোট ২০ টি জেলা আক্রান্ত হবে। মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পং এ ভারী বৃষ্টি হবে। আগামীকাল থেকে ৪৮ ঘন্টা ধরে পর্যবেক্ষণ চলবে। ৫১ টি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পজিটিভ ভূমিকার জন্য সংবাদ কাছে আবেদন করা হচ্ছে। নেগেটিভ বিষয়গুলি সব সময় বলা হয়ে থাকে। পাওয়ার রিস্টোরেশনের ১০০ টি টিম কাজ করবে। ৪৫০ টি টেলিফোন রিস্টোরেশন চালু থাকবে। প্রধান লক্ষ্য হ’ল সঠিক ও নিরাপদ জায়গায় ১০ লক্ষ লোককে সরানো।