সন্ধ্যা ৫ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত রেস্তোঁরা খোলা হবে, খুচরো দোকান খোলা দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে : মুখ্যমন্ত্রী
চাল-আটা মিল কর্মীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, ১৬ ই জুন থেকে শপিং মল খোলা হবে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : রাজ্যের জেলাশাসক এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন যে ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে পুরো লকডাউন করা হয়নি। তিনি রাজ্যের বাজারগুলিতে নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে বলেন। তিনি পরামর্শ দিলেন, “আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে এক জায়গায় বেশি লোক যেন জড়ো না হন।” কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে হোটেল রেস্তোঁরা খোলা রাখুন। সন্ধ্যা ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত খোলার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে হবে। সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
খুচরা দোকান খোলার সময় এর আগে দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত ছিল। এখন সেই সময় ১ ঘণ্টা বাড়িয়ে ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত করা হলো। শপিং মল ১৬ ই জুন থেকে খোলা রাখা যেতে পারে, তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা রাখার অনুমতি থাকবে।মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন তাদের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। বস্তুত উল্লেখ্য, নবান্নের সভাঘরে ২৯ টি বনিক সংগঠন এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের বলেন, “আপনাদের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত,” তিনি বনিকসভার বৈঠকে বলেন। আপনাদের সেই ভ্যাকসিন কিনতে হবে। মনে করুন আপনারা সেই ভ্যাকসিন রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন। আমি আপনাদের সেই ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করছি। ” আমি তাদের উৎসাহিত করব। তিনি বলেন যে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার আপনাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে, আপনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিলে অর্থ প্রদান করুন।
ইটভাটা’ ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ডুবে গেছে। ব্রিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া হলে মমতা বলেন যে সরকার সাহায্যের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তিনি বলেন যে যশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদি একের পর এক ব্যবসায়িক সংগঠন, একটি গ্রাম বা একটি গ্রাম দত্তক নেন তবে তা অনেকক্ষেত্রে সাহায্য করবে। তিনি বলেন যে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপড়ের দোকান খুলতে দেওয়া হবে না। আমাদের করোনা সংক্রমণেরও দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।