প্রশাসন করোনার তৃতীয় ঢেউ কে প্রতিরোধ করতে তৎপর, জেলায় RT-PCR ল্যাব নির্মিত হবে
জেলায় ৩ হাজার কোভিড বেড, শিশুদের চিকিৎসার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : পশ্চিম বর্ধমান জেলা করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জেলাশাসক বিভু গোয়েলের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। জেলাশাসক উপস্থিত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কোভিড ভ্যাকসিন ছাড়াও জেলায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কালা জ্বর, কুষ্ঠ ও পোলিও নিয়ন্ত্রণ করার দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেন। করোনা মোকাবিলার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাবের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে করোনার প্রতিদিন ৬০০ জনকে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও নিউরো-অর্থো-সার্জনদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কর্মীদের প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করার দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের প্রতিদিনের কোভিড ডেথ অডিট করার নির্দেশ দেন। এর সঙ্গে ব্লাড সেপারেটর, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বেড, ডেডিকেটেড কোভিড ওয়ার্ড ইত্যাদির ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। এর জন্য তহবিল এসে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকে জেলায় বর্ষাকালে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কে কুষ্ঠ ও পোলিও মুক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন যে ২০২১ সালে জেলায় ১ টি মাত্র পোলিও রোগী পাওয়া গেছে। বর্তমানে জেলায় সার্ভের কাজ চলছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, কালো জ্বর সম্পর্কে লোকদের সচেতন করবেন। ওষুধ স্প্রে করার জন্য আসানসোল পুরনিগমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল দুই প্রকার ওষুধ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিতরণ করা হবে। এই বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা অফিসার (জেনারেল) ডাঃ অভিজিৎ শেভালে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজি, এসিএমওসিএইচ ডাঃ অনুরাধা দে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গাঙ্গুলি উপস্থিত ছিলেন।
করোনার তৃতীয় ঢেউ থামাতে প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে
: এডিএম (জেনারেল) ডাঃ অভিজিৎ শেভালে বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে কি না তার কোনও গ্যারান্টি নেই। তবে প্রশাসন ইতিমধ্যে এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে। প্রশাসনিক স্তর থেকে লোকদের নিয়মিত সতর্কতার সাথে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পড়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে, যদি সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া যায়, তবে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ থামানো যেতে পারে। করোনার কথা মাথায় স্পেশাল আইসোলেশান ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ২০০ শয্যা ও দূর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ১০০ শয্যার এই ওয়ার্ড তৈরী করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বেডের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জেলায় করোনার জন্য কোভিড বেড তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার অনেক হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক বা শিশুদের জন্য আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে