ASANSOLधर्म-अध्यात्म

আসানসোলে ছাতাপাথর সংকটমোচন মহাবীর মন্দিরে কলস যাত্রার মাধ্যমে বজরঙ্গবলীর মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সূচনা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বুধবার
আসানসোলে ছাতাপাথর সেবা সমিতি সংকটমোচন মহাবীর মন্দিরে বজরঙ্গবলীর মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আয়োজন করা হয়। মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা। ওই অঞ্চলের মহিলারা কলস যাত্রার মাধ্যমে ওই মন্দিরে পৌঁছন। বজরঙ্গবলীর মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার উপলক্ষে মন্দিরে তিন দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ওই কলস যাত্রায় উপস্থিত জেলার যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী প্রমোদ সিং বলেন, ” সংকটমোচন মহাবীর মন্দিরে বজরঙ্গবলীর মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আয়োজন করা হয়েছে। ১৭, ১৮ ও ১৯ এই তিনদিন মন্দিরে পূজা অর্চনা হবে। ২০ তারিখ ভান্ডারা ও মহাভোগ বিতরণ করা হবে এবং অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। হনুমানজীর মূর্তি নতুন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা পালন করছি। মানুষের জীবনে শান্তি বিরাজ করুক এবং হনুমানজির কৃপা যাতে সবার উপর থাকে এটাই প্রার্থনা করব। “

এদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস দাস বলেন, “ছাতাপাথর মহাবীর মন্দির থেকে বাগবন্দী ছটঘাটে কলসযাত্রা বের করা হয়।এর পর বাগবন্দী ছটঘাট থেকে পণ্ডিত প্রেমশঙ্কর পান্ডের উপস্থিতিতে কলসীতে জল ভরে ফের কলস মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়। পুণ্যার্থীরা এখানে পুজোর জন্য এসেছেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে তারা পূজা-অর্চনা করছেন। আজ এখানেই বজরংবলীর মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে।”

ওই উপলক্ষে মনোজ সিং এবং মনীষ সিং বলেন যে,
শুক্রবার সকালে, বেদি পুজোর সঙ্গে জলধীবাস, অন্নধীবাস এবং শনিবার বিকেলে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে সন্ধ্যায় কীর্তন ও ভান্ডারার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রায় ৫১ জন মহিলা ও যুবতী ওই মহা – কলস যাত্রায় ছিলেন। মন্দিরে কলস আগমনের পরে পুজোর জন্য মন্ত্রোচ্চারণ সহযোগে একটি বেদী তৈরি করা হয়। ওই সময়
উপস্থিত ছিলেন মনোজ সিং, অমিত সিং, পাপ্পু ঠাকুর, মণীশ সিং, জেলার যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ সিং , প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস দাস, মিন্টু সিং সন্তু চৌরাসিয়া, ধনমন মিশ্র, বিজয় মিশ্র, অরুণ প্রসাদ, দেবানন্দ পান্ডে, বাবন দুবে, বাচ্চু দুবে, রামনাথ সিং, গজু বাউরী, সানি সিং, বিশাল সিং, বিনোদ সিং, বিকাশ সিং, অরুণ রাজবংশী, রাজকুমার সাউ, অশোক মিস্ত্রি, উমেশ সাউ প্রমুখ।

বস্তুত উল্লেখ্য , বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি মন্দিরের হনুমানজির মূর্তি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনার পরে ওই অঞ্চলের সকল মানুষের সহযোগিতায় নতুন করে বজরংবলীর মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সূচনা করা হল আজ। এরই সঙ্গে তিন দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।

Leave a Reply