তৃণমূল কাউন্সিলর এবং আইনজীবী তপন ব্যানার্জির স্ত্রী সমাজকর্মী বন্দনা ব্যানার্জীর মৃত্যুতে শোকের আবহ
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত/ রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল,: আসানসোলের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড হিন্দুস্থান পার্ক এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কাউন্সিলর এবং আইনজীবী তপন ব্যানার্জির স্ত্রী সমাজকর্মী বন্দনা ব্যানার্জীর মৃত্যুতে শোকের আবহ। প্রয়াত শ্রীমতী বন্দনা ব্যানার্জীর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৯। এদিকে এই আকস্মিক মৃত্যুর ফলে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বন্দনা দেবী সমাজসেবার কাজেও ব্রতী ছিলেন। সূত্রমতে , গতকাল শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় চিকিৎসার জন্য বন্দনা দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/06/IMG-20220608-WA0024.jpg?resize=500%2C226&ssl=1)
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কাউন্সিলর তপন ব্যানার্জীর পাশে দাঁড়াতে এলাকার মানুষ সহ দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভীড় করেছেন।এই ব্যাপারে ঘটনাস্থলে পৌঁছান শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন স্বনামধন্য আইনজীবীরা। উপস্থিত হন রানীগঞ্জ বিধায়ক ও এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী শেখর কুন্ডু, ব্যবসায়ী শচীন রায়, দেব সেনগুপ্ত, অভিজিৎ চ্যাটার্জী, প্রবীর সেনগুপ্ত, দুর্গাপুর থেকে অপূর্ব মুখার্জী, সমাজকর্মী ও আইনজীবী সুদেষ্ণা ঘটক,শিল্পপতি বিজয় শর্মা, কাউন্সিলর ববিতা দাস, আইনজীবী মনীপদ্ম ব্যানার্জী, ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক তথা প্রতিবেশী মঞ্জু কাঞ্জিলাল প্রমুখ।
শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত মন্ত্রী সহ তপন ব্যানার্জীর পারিবারিক বন্ধু মলয় ঘটক, মেয়র বিধান উপাধ্যায়, আইনজীবী ও ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রাজেশ তিওয়ারি, সেক্রেটারি বাণী কুমার মন্ডল,
ভি. শিবদাসন ওরফে দাশু থেকে শুরু করে সব মহলের মানুষ।
এ ব্যাপারে আইনজীবী তথা কাউন্সিলর তপন ব্যানার্জি বলেন যে, ” রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে দুর্গাপুরের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করার সমস্ত রানীগঞ্জ এর কাছে অবস্থার আরো অবনতি হলে রানীগঞ্জ পাঞ্জাবী মোড়ের কাছেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি নিয়ে গেলে সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কিছুদিন আগে চেন্নাইতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলে কিছু ছোটখাটো সমস্যা ছাড়া তেমন কিছু ধরা পড়েনি। এই আকস্মিক মৃত্যু এখনও আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। দীর্ঘদিনের সঙ্গী হারা হলাম।”
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কাউন্সিলর তপন ব্যানার্জীর পারিবারিক বন্ধু সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “এই আকস্মিক মৃত্যু রীতিমতো অনভিপ্রেত। সকাল থেকেই আমি পরিবারের পাশে রয়েছি এবং সবসময় থাকব। বন্দনা দেবী সমাজকর্মী হিসেবে বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকেছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।”