রূপনারায়ণপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সংকট, সামাজিক সংগঠন ভাবনার পক্ষ থেকে ডেপুটেশন
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ।গত কয়েক মাস ধরে সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সংকটে বিরক্ত হওয়ার পর বুধবার স্থানীয় ভাবনা নামে সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর এর প্রধান সচিব , মহকুমাশাসক, জেলা প্রশাসন এবং সালানপুর বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব মন্ডল, সহ-সম্পাদক অভয় মন্ডল এবং সৌরভ ঠাকুর তারা অভিযোগ করেন কোন কোন দিন ৭/৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুত বিভ্রাট চলছে ।মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিদ্যুৎ ছিল না।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় বিদ্যুৎ ছিল না বললেই হয়। এছাড়াও বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত বলা হচ্ছে তখন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কখনো বলা হয় হাইটেনশন লাইনের সমস্যা ,কখনও লো টেনশন লাইনের সমস্যা ।তার উপর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগটি হল এখানকার বিদ্যুৎ দপ্তর এর অফিসে রাত দশটা থেকে পরের দিন সকাল নটা দশটা পর্যন্ত কেউ থাকেন না। রাত্রিবেলা যদি কোন জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে কিন্তু পরের দিন গিয়ে তা মেরামত হয়। অথচ এই বিদ্যুৎ দপ্তর কুলটি থেকেও বছরের বেশি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে আয় করে থাকেন ।তার ওপর দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ বার প্রতিদিন লাইন চলে যায় এবং কিছুক্ষণ পর আবার আসে কেন এমন হয় তার ব্যাখ্যা অবশ্য বিদ্যুৎ দিতে পারেননি ।
মুখ্যমন্ত্রী – আইনমন্ত্রীকে হলফনামার সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হল হাইকোর্টে
বিষয়টির সাথে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সাথে বিডিও অদিতি বসু সহমত পোষণ করে বলেন আমিও এখানে যেহেতু থাকি আমিও লক্ষ্য করে দেখছি বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে ।সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি সহকারি বিদ্যুৎ দপ্তর এর ইঞ্জিনিয়ার কে ফোন করে দেখার জন্য বলেন এবং পরে ওই সংস্থার আধিকারিকদের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সন্ধ্যায় ডিভিশনাল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার কথা বলেন। বিদ্যুৎ দপ্তর এর রিজিওনাল ম্যানেজার আশ্বাস দেন তিনি নিজে ডিভিশনাল ম্যানেজার কে সঙ্গে নিয়ে দু-একদিনের মধ্যেই এই এলাকা দেখতে আসবেন এবং কেন বারবার এত ভয়ঙ্কর সংকট হচ্ছে তার তদন্ত করবেন।
অন্যদিকে এখানকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে বৃদ্ধ মানুষ তাদের অভিযোগ এই প্রচণ্ড গরমে ঝড়-বৃষ্টি না হলেও প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে তাদের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা হয়। সরকারি দপ্তর গুলিতে যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে কম্পিউটারে অনলাইনে সমস্ত কাজ থমকে যায়। ঠিক যেভাবে বুধবার সালানপুর বিডিও দপ্তরে প্রায় দিনভর কোন কাজই কর্মীরা করতে পারেননি। অন্ধকারে তাদের কাটাতে হয়েছে। ভাবনার পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বাবু জানিয়েছেন যদি রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরে প্রধান সচিব এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তা হলে তারা আগামী দিনে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে যাবেন সমস্যা সমাধানের জন্য