ASANSOL

শিল্পাঞ্চলে চললো না বেসরকারি বাস ও মিনিবাস, ভরসা SBSTC

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২ জুলাইঃ রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র দিলেও শুক্রবার বেসরকারি বাস মিনিবাস আসানসোল খনি শিল্পাঞ্চলে বন্ধ থাকলো। এই এলাকার মানুষদের এখন ভরসা হলো সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা। তাদের পরিষেবা দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকারের দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা বা এসবিএসটিসির বাসগুলি। শুক্রবার আসানসোল থেকে কলকাতা ও করুণাময়ী রুটে নটি বাস যাতায়াত করেছে বলে জানা গেছে । একইসঙ্গে আসানসোল থেকে দীঘা রুটে একটি বাস, মালদার জন্য ও ফারাক্কার রুটে মোট তিনটি বাস, আসানসোল থেকে বহরমপুর একটি বাস ও আসানসোল থেকে বনগাঁ ও হাবরার রুটে আসানসোল থেকে দুটি বাস চলে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার আসানসোল ডিপোর দায়িত্বে থাকা সুদীপ চন্দ্র বলেন, রবিবার থেকে আসানসোল কলকাতা ও করুনাময়ী মধ্যে আরও দুটি বাস বাড়ানো হবে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু সরকারি নির্দেশ মতো ৫০% যাত্রী নিয়ে সরকারি নিয়ম মেনেই বাস চালাচ্ছি। বাসগুলোতে যাত্রী সংখ্যাও ভালো হচ্ছে।


অন্যদিকে আসানসোলের মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় এদিন বলেন, বৃহস্পতিবার সাতটি বড় বাস আসানসোল থেকে বিভিন্ন রুটে চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে । সেই ক্ষতি ঐ বাস মালিকদের মিনিবাস ও বড় বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার আসানসোল ও রানিগঞ্জের মধ্যে মাত্র দু’টি বড় বাস দুই ট্রিপ চালিয়ে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই পরে সেই দুটি বাস চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, যতদিন না নতুন করে ভাড়া বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হচ্ছে বা জ্বালানির দাম কমানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মিনি বাস ও বড় বাস চালানো সম্ভব হবে না। তবে আমরা কোনরকম ধর্মঘটে যাচ্ছি না। সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি কবে পরিবহনমন্ত্রী ভাড়া বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তারপর বিবেচনা করা হবে কিভাবে বাসগুলি চলবে। সাধারণ মানুষের কষ্ট হলেও, আমাদের কিছু করার নেই।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *