পাঁচ আধিকারিক কে দায়ী করে রিপোর্ট ডিজিএমএস এর, কয়লা খনিতে জল ভরে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল ।ইসিএলের মুগমা এরিয়ার খুদিয়া কয়লা খনিতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর জল ভরে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ঘটেছে বলে পাঁচ আধিকারিক কে দায়ী করে রিপোর্ট পেশ করেছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইনস সেফটির দপ্তর। ঐ রিপোর্টে এজেন্ট শৈলেন্দ্র কুমার, ম্যানেজার প্রবীন কুমার মিশ্র, সেফটি অফিসার ললিত কুমারের নাম আছে । এছাড়াও সার্বিয়ার সহ দুইজন আছে। এদের বিরুদ্ধে ডিজিএমএস এর পক্ষ থেকে ধানবাদ আদালতে গত মাসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইসিএলের ডাইরেক্টর বি ভিরা রেড্ডি বলেন ডিজিএমএস এর সুপারিশ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।



উল্লেখ করা যেতে পারে গত ৮ ডিসেম্বর এই খনিতে পড়ে গিয়ে পাম্প অপারেটর বসিয়া মাঝি এবং হেলপার মানিক বাউরীর মৃত্যু হয় ।ঘটনার ৯ দিনপর তাদের দেহ খনির বাইরে উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছিল। এরপর মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবং অন্যান্য কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করে কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তাসংক্রান্ত গাফিলতি কে দায়ী করে আন্দোলন শুরু করে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইন্স সেফটির সেন্ট্রাল জোনের পক্ষ থেকে তদন্তে নেমে ওই খনির ভেতরে এক বিশাল অংশ ধসে বিপুল পরিমাণ জল ঢুকে পড়েছিল বলে বলা হয়। ঠিকমতো সমীক্ষা হলে এই ঘটনা ঘটত না।
এই ঘটনার পর গাফিলতির অভিযোগ এখানকার ম্যানেজার প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে একটি ইনক্রিমেন্ট কেটে নেওয়া হয় এবং তাকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল তেমনি সেফটি অফিসার ললিত কুমার মাহাতো এবং সার্ভেয়ার দেবাশিস ঘোষ এর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ইসিএলের ডিরেক্টর( টেকনিক্যাল) বি ভিরা রেড্ডি বলেন তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার সাথে কোন রকম আপস করা যাবে না বলেও বলা হয়েছে।