করোনা পরিস্থিতিতে প্রাপ্য দাবিদাওয়া নিয়ে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্দোলনের পথে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : করোণা পরিস্থিতিতে এবার বিভিন্ন প্রাপ্য দাবিদাওয়া নিয়ে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্দোলনের পথে। শুক্রবার আসানসোলের বুধা সংলগ্ন মাঠে যেখানে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের আসানসোল শাখার পক্ষ থেকে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় । ওই সভায় কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন প্রাপ্য দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সভা শেষে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নেত্রী শান্তি কুন্ডু বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার দ্বারা ঘোষণা করা হয় যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হবেন তারা ১ লক্ষ টাকা করে পাবেন। করোনাকালে অনেক পৌর স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেও সেই টাকা তারা পাচ্ছেন না। অন্যান্য জায়গায় হয়ত সেই টাকা পাওয়া গিয়েছে কিন্তু আসানসোলের পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই টাকা পান নি এবং অবিলম্বে তারা যাতে সেই টাকা পান তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল করোণা পরিস্থিতিতে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন তাদেরকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে কিন্তু ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও তারা সেই টাকা পাননি যা অবিলম্বে দিতে হবে।
এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী অবসর নিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে অবসরকালীন ৩ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে এবং পেনশন চালু করতে হবে।
এরই সঙ্গে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ বছর করতে হবে এবং অতিরিক্ত কাজ করালে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে। এছাড়া তিনি বলেন পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
এই সমস্ত দাবি-দাওয়া গুলি অবিলম্বে না বিবেচনা করলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলে মন্তব্য করেন শান্তি দেবী।
ওই সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করার পর স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি টিম কর্পোরেশনের কমিশনারের দপ্তরে , জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ( CMOH) এর দপ্তরে এবং মহকুমা শাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেন।
এই উপলক্ষে ওই সভায় নেত্রী শান্তি কুন্ডু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মঞ্জু চক্রবর্তী প্রতিমা রায় ঝরনা ভট্টাচার্য, ঝরনা চৌবে, রেনু দেবী, শিলা ব্যানার্জি, শ্রাবণী ভট্টাচার্য, কাঞ্চন রায়, আরতী চক্রবর্তী, গীতা গাঙ্গুলী, রিনা ভান্ডারী, ফরিজা নাজ প্রমুখ।