চিনাকুড়ি ৩ নং কোলিয়ারিতে উৎপাদন বাড়াতে নতুন প্রজেক্ট, জবরদখল সরাতে নোটিশ, পুনর্বাসনের দাবি
রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ জুলাইঃ কয়লার উৎপাদন বাড়াতে ইসিএলের সোদপুর এরিয়ায় চিনাকুড়ি গ্রুপের চিনাকুড়ি ৩ নং কোলিয়ারিতে নতুন প্রজেক্টের ভাবনা নেওয়া হয়েছে। তবে তার জন্য অন্তরায় বা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোলিয়ারি যাওয়ার রাস্তায় বেআইনী জবরদখল। সেই জবরদখল সরাতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে ইসিএল কতৃপক্ষ। যারা ইসিএলের জায়গা দখল করে বেআইনী নির্মাণ করেছেন, তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, ইসিএলের এই নোটিশ পাওয়ার পরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন দীর্ঘ দিন ধরে ঐ এলাকায় বাড়ি করে থাকা বেশকিছু পরিবারের সদস্যরা। তারা ইসিএলের উন্নতির কথা ভেবে, বাধা হয়ে থাকতে চাননা। তবে তারা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমাদেরকে সবরকম সুবিধা সহ পুনর্বাসন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে চিনাকুড়ি ১ নং কোলিয়ারির ম্যানেজার তথা চিনাকুড়ি গ্রুপের এ্যাকটিং এজেন্ট অজিত কুমার বলেন, সংস্থার সদর দপ্তর থেকে চিনাকুড়ি ৩ নং কোলিয়ারিকে পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারজন্য এই কোলিয়ারিতে একটি আধুনিক প্রজেক্ট ব্যবহার করা হবে। এতে কোলিয়ারির দৈনিক কয়লা উৎপাদনের পরিমান ২০০ টন থেকে বেড়ে ১৫০০ টন হবে। এই প্রজেক্ট হলে, কোলিয়ারিতে বড় বড় গাড়ি যাতায়াত করবে। তার জন্য ৮ মিটার চওড়া রাস্তা করতে হবে। কিন্তু তা করা যাচ্ছে না। কারণ রাস্তায় বেআইনী জবরদখল রয়েছে। ১৫ টির মতো পরিবার রয়েছে। তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আইন মতো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতে সরে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট দিন বলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের আশা বেআইনী জবরদখলকারীরা সরে যাবেন। তা না হলে, আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে, এলাকার বাসিন্দাদের তরফে রাজকুমার প্রসাদ বলেন, ইসিএল ১৬ জুলাই বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে নোটিশ টাঙ্গিয়েছে। বলেছে, সাতদিনের মধ্যে সরে যেতে। এই রকম হয় নাকি। আমরা কতদিন ধরে এখানে আছি। আজ হঠাৎ করে ইসিএল সরে যেতে বলছে। এই করোনার সময় আমাদের কোন কাজ তেমন ভাবে নেই। এমন একটা সময়ে মাথার ছাদ চলে গেলে, আমাদের কি হবে? আমরা চাই ইসিএল কতৃপক্ষ আমাদের পুনর্বাসন দিক। তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।