আসানসোলের স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের, পাস না ফেল, মার্কশীট হাতে পেয়ে চরম বিভ্রান্তি

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৩ জুলাইঃ পাস ও ফেল করা নিয়ে চরম জটিলতা ও বিভ্রান্ত তৈরী হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক হাতে পাওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে। আর তা নিয়ে বিক্ষোভ উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীদের। ‘পাস করে ফেল ,না ফেল করে পাস’, তা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা টিচার ইনচার্জ কিছুই জানেন না। এই ঘটনায় শুক্রবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়াদের সঙ্গে অভিভাবকরাও।


বৃহস্পতিবার বিকালে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আর শুক্রবার হাতে মার্কশিট নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলছে ,’ এই রেজাল্ট মানছি না, মানব না।’ তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন অভিভাবকরাও। তারা বলছেন আবার পরীক্ষা নিতে হবে। এদিন বিক্ষোভ চলে স্কুলের মধ্যেই। ছাত্রীরা দেখাচ্ছে, মার্কশিট ফেল লেখা হয়েছে। অথচ পাস মার্কস দেওয়াও আছে। এমনই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলের ধাদকা নারায়ণ চন্দ্র লাহিড়ী বিদ্যামন্দিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।
পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। সঙ্গে চলে চিৎকার। হাতে মার্কশিট নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ কি, তা জানতে আর্জি জানিয়েছেন , স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে।
কিন্তু স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিব মির্ধা পরিষ্কার করে কিছুই বলতে পারেন নি। তবে তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল আমাদের কাছে পরীক্ষার্থীদের যা নম্বর চেয়েছে আমরা তা পাঠিয়েছি। কারোর পছন্দ না হলে, বা অভিযোগ থাকলে তারা আমাকে লিখিতভাবে জানাক। আমি কাউন্সিলে পাঠিয়ে দেবো। তারা যা করার করবে।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবল চন্দ্র ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, স্কুল কেন কোন পড়ুয়াকে ফেল করাতে যাবে? মাধ্যমিক, একাদশ ও প্রজেক্টের নম্বর আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। কেউ যদি ঐ তিনটেতে কম নম্বর পেয়ে থাকে, তাহলে সে ফেল করবে। আমরা কি করতে পারি?
হাতে মার্কশিট পাওয়ার পরে এই মুহূর্তে ছাত্রীদের অবস্থান কি? আদৌ কি তারা পাস করেছে না ফেল করেছে তাও পরিষ্কার হয়নি।
যদিও অঙ্কিতা দে সহ ছাত্রীদের কথায়, তাদের মার্কশিটে নম্বরের জায়গায় পাস মার্ক দেওয়া আছে। আবার নীচে ফেল লেখা আছে।
তবে শুধু ছাত্রী নয়, অভিভাবকরাও তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলছেন, কি হবে তাদের সন্তানদের জীবন ও ভবিষ্যত। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে। মার্কশিট ও পেয়েছেন। কিন্তু পাস না ফেল তা পরিষ্কার নয়। কিভাবে কাটবে এই ধোঁয়াশা? তাদের দাবি, ‘পাস করাতে হবে সবাইকে, না হলে আবার পরীক্ষা নিতে হবে সবার।’ যদিও স্কুলের সহ প্রধানশিক্ষক এ ব্যাপারে কিছুই পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না। পরিষ্কার করে বলছেন না যে, এই ছাত্রীরা পাস করেছে না, ফেল করেছে। করোনা আবহে পরীক্ষা না হবার পরেও রেজাল্ট নিয়ে চরম বিপদে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা। সুরাহার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু কার ভুল, কাকে বলতে হবে, কী করতে হবে , সবই তাদের অজানা।
এক বা দুজন নয়, কলা বিভাগের প্রায় ৫০ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। কে নেবে দায়ভার’, প্রশ্ন তুলেছে ছাত্রীরা।
रूमाना सुल्ताना कन्याश्री की ब्रांड एंबेसेडर होंगी, जिला प्रशासन ने किया सम्मानित