Bengali NewsKULTI-BARAKAR

অবৈধভাবে বালি তুলতে দামোদর নদীতে অস্থায়ী বাঁধ তৈরির অভিযোগ, তৃনমুল কংগ্রেস ও বিজেপির রাজনৈতিক চাপান উতর

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ জুলাইঃ অবৈধভাবে বালি তোলার জন্য এবার নদীর গতিপথের উপর তৈরি করা হলো অস্থায়ী বাঁধ। দামোদর নদীর ওপর এই অস্থায়ী বাঁধ তৈরী করার অভিযোগ উঠলো আসানসোলের কুলটি থানা এলাকায়। এর থেকেই প্রকাশ্য চলে এসেছে বালি মাফিয়া বা বেআইনি কারবারিদের দৌরাত্ব। যেখানে নদী থেকে বালি তোলার কাজের জন্য কার্যত নদীতে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী বাঁধ। শুধু এখন নয়, বছরের পর বছর এভাবেই আসানসোলে কুলটি থানার শীতলপুর এলাকা থেকে এভাবেই চলছে দামোদর থেকে বালি তুলে তা পাচার করার কাজ। একইসঙ্গে এই বালি পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক চাপান উতর।


কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এইভাবে বালি তোলার কাজকে অন্যায় ও অসামাজিক বলেছেন।
কিন্তু এই যে ঘটনা এই ঘটনা কোনও নতুন ঘটনা নয় দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ঐ এলাকা থেকে বালি পাচারের কাজ চলেছে। তাহলে এতদিন কিছু করা হয়নি কেন ? এই প্রসঙ্গে এদিন উজ্জ্বলবাবু বলেন , প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কখনো কোন কাজ করা উচিত নয়। যারা এই কাজ করছে, তাদের কোনদিন রেয়াত করা হবে না। তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালি ও কয়লার বেআইনী কারবার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের দলের নেতা ও কর্মী জড়িত না থাকার জন্য দলনেত্রী সতর্ক করেছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো পুলিশ ও প্রশাসন এইসব বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেবে।

অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার বলেন, এই ধরনের কাজ কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু রাজ্য সরকার কিছু করলে তবে তো। ইতিমধ্যেই আমি বিষয়ে চেক ড্যাম তৈরির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন রেখেছি। তিনি আরো বলেন, এখানে সরকার তো এইরকমভাবেই চলছে দিন কয়েক আগে তো শাসক দলের নেতারা এই বালি ও কয়লা নিয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছিলো। কি হলো। রাজ্যে তো ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে সবকিছুই চলছে।


প্রসঙ্গতঃ, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে বালি মাফিয়া ও বালির অবৈধ কারবার রুখতে নয়া নীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে অফিসার, সরকারি কর্মী ও রাজনৈতিক দলের নেতা হোক না কেন। বালি ও পাথর তোলার দায়িত্ব বন্টন করার দায়িত্ব এতদিন জেলাশাসকের ছিলো। তা এখন থেকে মাইন ও মিনারেল কর্পোরেশনের কাছে দেওয়া হচ্ছে।
এখন দেখার যেখানে সদ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ বালি উত্তোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন। সেখানে আদৌ কি এই অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ বন্ধ করা যাবে, নাকি তা চলতে থাকবে আসানসোল রানিগঞ্জ কুলটি এলাকা জুড়ে।

MLA কে রুপোর মুকুট পরিয়ে সম্বর্ধনা ঘিরে বিতর্ক

দুয়ারে সরকারের মতো পড়ুয়াদের স্বার্থে দুয়ারে শিক্ষা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব, অতিমারী পরিস্থিতিতে শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নে শাসক দলের টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সভা 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *