আসানসোলের সাংসদ BABUL SUPRIYO রাজনীতি ছাড়ছেন
মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়াই কারণ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা / টিম নরেন্দ্র মোদি থেকে বাদ পড়ার ২৮ দিন পরে সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩১ জুলাইঃ দুদিনের মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় পোস্ট। শনিবার বিকালের আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। নিজের ফেসবুকে বাবুল সুপ্রিয় বেশ বড় সেই পোস্ট থেকে একটা কথা পরিষ্কার যে, রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন ২০১৪ সালে আসানসোল থেকে প্রথমবার জিতে সাংসদ হওয়া বাবুল সুপ্রিয়। এদিনের পোস্টে বাবুল বিস্তারিতভাবে সবকিছুই লিখেছেন। মন্ত্রীত্ব হারানোর ২৮ দিন পরে বাবুল এই পোস্ট করেছেন।
এদিনের পোস্ট করার পরে বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি ওয়াটস এ্যাপের বার্তার উত্তর তিনি দেননি।
তবে তার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে, মাইনে না নেওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে বাবুল সাংসদ ও মন্ত্রী হওয়ার জন্য যে বাংলোটি পেয়েছিলেন, সেটাও একমাসের মধ্যে ছেড়ে দেবেন। আরো জানা গেছে, বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারেন।
আসানসোলের বিজেপি নেতৃত্ব বাবুলের এই পোস্ট নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে চাননি।
তবে, একটা সময় বাংলার রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেওয়া গায়ক নায়ক সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় কেন রাজনীতি থেকে ” আলবিদা ও চললাম” লিখলেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়াটা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। এছাড়াও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তার বনিবনা তেমনটা নেই। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় দলের ভরাডুবি হওয়ার পরে দলে বাবুল আরো কোনঠাসা হয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গতঃ, ২০১৪ সালের পরে ২০১৯ সালে আসানসোল থেকে বাবলুের জয়ের ব্যবধান দ্বিগুন হয়। তিনি আবার দ্বিতীয় বারের জন্য মন্ত্রী হন। এবারের বিধান সভা নির্বাচন কলকাতার টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপি বাবুলকে অরুপ বিশ্বাসের বিপক্ষে প্রার্থীও করেছিলো। কিন্তু তিনি হেরে যান।