দ্বিতীয় ডোজ দিকে বিশেষ নজর স্বাস্থ্য দপ্তরের, দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে কোন অসুবিধা হলে CMOH কে মেসেজ করতে পারেন ৮২৫০৯৯৯০১০
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৫ আগষ্টঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যাদের ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময়সীমা পার হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। আর যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় চলছে সেই মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারের মতো । অবিলম্বে এই সব মানুষকে জেলার যেকোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সেখান থেকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজি।তিনি বলেন, আমি আমার মোবাইল নম্বর সাধারণ মানুষদের ( ৮২৫০৯৯৯০১০) দিচ্ছি। যারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে কোন সেন্টার থেকে যদি না পান বা ফিরে আসেন তাহলে অবশ্যই আমাকে এই নম্বরে মেসেজ করবেন । কাউকে ফিরিয়ে দেওয়ার সঠিক তথ্য আমার হাতে এলে অবশ্যই আমি সেখানের আধিকারিক ও স্বাস্থ্য কর্মীকে শোকজ করে জবাব তলব করবো ।




তিনি আরো বলেন, জেলায় এই মুহুর্তে কোভ্যাকসিন প্রায় ৯ হাজার ও কোভিশিল্ড প্রায় ৪৮ হাজার মত রয়েছে। যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় শেষ হয়েছে তাদেরও ফোন করা হলে কেউ কেউ বলছেন তারা অন্য জায়গা থেকে তা নিয়েছেন। কিন্তু তাদের মোবাইল নম্বরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেটা ডিউ রয়েছে। হয়তো এতে অন্য কোন নতুন নম্বর দিয়ে তারা অন্য কোথাও থেকে নিতে পারেন। আবার অনেকেই খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তিনি বলেন, জেলাশাসক, আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার , আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি, মহকুমাশাসক সহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে। এই বৈঠকে আমি পুরনিগম কতৃপক্ষকে বলেছি পুরনিগমের ১৮ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টি ভ্যাক্সিনেশন চালু আছে। বাকি আরো ৫টিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার সেন্টার চালু করার ব্যবস্থা করুন।
এছাড়াও আমরা প্রত্যেক সেন্টারে প্রতিদিন ৩০০ করে ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠাচ্ছি। তার মধ্যে ১০০ টি সেকেন্ড ডোজের জন্য বরাদ্দ থাকছে। পুরনিগম ইতিমধ্যেই বস্তি এলাকাতেও ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মীদের চারটি টিমকেও পুরনিগমেও পাঠিয়েছি তাদের এই কাজে সাহায্য করার জন্য। প্রত্যেকটি জায়গা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বলে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কেউ ফিরে না যায় সেদিকে বিশেষ করে নজর রাখতে হবে। ইসিএলের ৮ টি হাসপাতালে ১০০টি ডোজ করে ভ্যাকসিন পাঠানো হলেও সেখানে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে একেবারেই আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ।যেহেতু ভ্যাকসিন ফেরানো যাবে না, তাই সব সেন্টার গুলিকে বলা হচ্ছে স্থানীয় ভিত্তিতেই তারা পরিকল্পনা নিয়ে সেই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে সমস্যা দেখা দেবে।