ASANSOL

সিপিআইএমের কার্যালয়ে প্রথমবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস সারা দেশে পালিত হল। প্রতি বছরের মতো এই বছরও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই রাজ্য এবং শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পতাকা উত্তোলন করা হয়।কিন্তু সিপিআই (এম) গঠনের পর প্রথমবার সব জায়গার সঙ্গে আসানসোলের আপকার গার্ডেনে সিপিআই (এম) কার্যালয়ে বেলা ১১ টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আসানসোলের অন্যতম সংগঠক ও সিপিআইএম বিধায়ক বিজয় পাল ছিলেন বামপন্থী বিপ্লবী। তাঁরই নামাঙ্কিত ও কর্মক্ষেত্র আসানসোলের জোনাল পার্টি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা তোলেন সিপিআইএম নেতা প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক অরুণাভ দাশগুপ্ত।

এই উপলক্ষে, সিপিআই (এম) নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন যে বামপন্থীদের আগেও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হতো। হ্যাঁ, এটা সত্য যে সিপিআই (এম) অফিসে প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। যারা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বামেদের অবদানকে উপেক্ষা করেছে তাদের প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আপকার গার্ডেনের এই দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তি স্থাপনে যাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম আসানসোলের বিধায়ক বিজয় পাল, একজন কট্টর মুক্তিযোদ্ধা। যাদের উপর সাম্রাজ্যবাদীরা এমন ধরনের অত্যাচার করে যার কারণে যিনি শেষ সময় পর্যন্ত লাঠির সাহায্যে হাঁটতে বাধ্য হন।

তিনি বলেন, এই একই বিজয় পাল যিনি ১৬ বছর বয়সে হাওড়া ফুটবল গ্রাউন্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। যার কারণে ব্রিটিশ শাসনকের নজর তার উপর পড়ে। এর পর তিনি উত্তরপ্রদেশের কানপুরে চলে যান এবং মহাত্মা গান্ধীর এমনই বিশ্বস্ত হয়ে পড়েন যে বিজয় পালের পরামর্শ ছাড়া মহাত্মা গান্ধী কারো সাথে দেখাও করতেন না। এদিন স্বল্প বক্তব্যে সিপিআইএমের রাজ্য নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় বিজেপি সরকারকে এক হাত নেন। বহুকষ্টের অর্জিত এই স্বাধীনতা কাম্য না থাকলেও যেটুকু আছে সেটুকুও নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে মোদি সরকার। ব্রিটিশদের মতই দেশের স্বার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রাদায়িক রাজনীতির মাধ্যমে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছ থেকে মুক্তি এখনও আসেনি।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে আবারও নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন কমিউনিস্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *