প্ল্যানিং করে আসানসোলের উন্নয়ন করতে হবে : ড: অমিতাভ বসু, কাজের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল : চন্দ্র শেখর কুন্ডু
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোল পৌরনিগমে প্রশাসক বোর্ডের পুনর্গঠন হলো। অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপারসন রইলেন। অভিজিৎ ঘটক, তাবাসসুম আরা, পূর্ণশশী রায়, অঞ্জনা শর্মাকে এই বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আনা হয়েছে তিনটি নতুন মুখ। তিনজন নতুন মুখ হলেন বানোয়ারী লাল ভালোটিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অমিতাভ বসু, সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুন্ডু এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস দাসকে।
মানস বাবু এবং অমিতাভ বাবু হবেন আসানসোল মিউনিসিপাল করপোরেশনের প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান।
এই প্রসঙ্গে বেঙ্গল মিরর কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিবি কলেজের অধ্যক্ষ ড: অমিতাভ বসু বলেন যে, তাকে প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে এই বিষয়টি তিনি ফোন মারফত জানতে পারেন। আসানসোলের ফুটপাত, যানজট এবং পার্কিং সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, বোর্ডের বৈঠকে নিশ্চয়ই সুযোগ এলে এই নিয়ে আলোচনা হবে। তার কথায় শহর বহু পুরনো এবং পরিকল্পনামাফিক গড়ে ওঠেনি। বাজার এবং ফুটপাতের দোকানগুলি নিয়ে তার বক্তব্য বহু যুবক এখানে রকমারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। সুতরাং তাদের দিকটিও ভেবে দেখতে হবে।
বাজার এলাকায় বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে প্রায়শই ওভারলোড হয়ে ট্রান্সফর্মার অথবা বিদ্যুতের তারে অথবা অস্থায়ী দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে। সে বিষয়ে তিনি বলেন আগামী দিনে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে একটি উপায় নির্ধারণ করতে সচেষ্ট হবেন। একাধারে কলেজের অধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব এবং অন্যদিকে প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব কিভাবে ব্যালেন্স করবেন এ প্রশ্ন করাতে তিনি বলেন প্রতিটি ওয়ার্ডে দেখভাল করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন তাদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখবেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অবশ্যই তিনি প্রযুক্তির সাহায্য নেবেন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের দিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নজর দেবেন।
এদিকে প্রশাসক মন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত অন্য এক সদস্য
পেশায় শিক্ষক ও সমাজকর্মী চন্দ্র শেখর কুন্ডু বলেন, কাজের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। তবে বাজার এলাকার ফুটপাত দখলের সমস্যা মেটানোর বোর্ড মিটিংয়ে আনবেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চন্দ্রশেখর বাবু বলেন যে, এর থেকে অনেক বড় সমস্যা রয়েছে। আগে সেগুলির সমাধান করা প্রয়োজন বলে জানিয়ে দেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সামনেই কর্পোরেশন নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মেপে পা ফেলছেন তৃণমূল নেতারা। তারুণ্য শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন জোড়া ফুল শিবিরের নেতারা। আর ঐ কারণেই বুদ্ধিজীবীদের প্রশাসকমন্ডলীতে জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।