CITU র দ্বাদশ রাজ্য সম্মেলন, জামুড়িয়ায় 30 শে সেপ্টেম্বর থেকে
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানিগঞ্জ: সিটু সংগঠনের সদস্যরা রাজ্যের দ্বাদশ রাজ্য সম্মেলন সফল করার নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করল শনিবার। এদিন সিটুর দ্বাদশ রাজ্য সম্মেলন, জামুড়িয়ায় আগামী 30 শে সেপ্টেম্বর থেকে দোসরা অক্টোবর পর্যন্ত নজরুল শতবার্ষিকী ভবনে সম্পন্ন হবে, সে বিষয়ে কে সামনে রেখেই এক অভ্যর্থনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলো নজরুল শতবার্ষিকী ভবনে। জানা গেছে এবার তাদের মঞ্চে নাম করণ করা হয়েছে শ্যামল চক্রবর্তী মঞ্চ। আর জামুরিয়া নগরের নামকরণ হয়েছে মোহাম্মদ আমিন নগর। এই কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে শনিবার এক অভ্যর্থনা কমিটির সভা সম্পন্ন হয় শতবার্ষিকী হলে।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/08/img-20210821-wa00311893790962928331782-500x231.jpg)
যেখানে এদিন কর্মী-সমর্থকদের ভর্তি থাকা এই সভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত হন সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু, রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখার্জি, সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী, প্রমূখ। শনিবারের এই অভ্যর্থনা কমিটির সভায় 221 জনের এক কমিটি গঠিত হয় যেখানে বংশগোপাল চৌধুরীকে সভাপতি ও মনোজ দত্ত কে সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও গঠিত হয় 11 টি সাব-কমিটি। তিন বছর পর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যস্তরের এবারের এই সম্মেলন জামুড়িয়ার বুকে অনুষ্ঠিত হওয়াতে সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে দিকে দিকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেমিনার মিটিং-মিছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংঘটিত করে সম্মেলন সফল করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
জানা গেছে এই সম্মেলনে প্রায় আটশোর মত কর্মী-সমর্থক অংশগ্রহণ করবেন। শনিবারের এই সভায়, বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু , তিনি এদিনের সভায় সরকারের শিল্প বন্ধ করার বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন করার আহ্বান জানান। দুর্গাপুরের ডিএসপি,এ এস.পি, ইস্কো কারখানা কে বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা ও দুর্গাপুরের ডি. পি.এল কারখানা কে বন্ধ করার চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার বলেই দাবি করে সেই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ডাক দেন তারা। একই সাথে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্প ও কয়লা খনি বন্ধ হওয়ার মধ্যে দিয়ে জেলাকে মরুভূমিতে পরিণত করার চক্রান্ত করছে দুই সরকার এই বার্তা দিয়ে সকলকে এর বিরোধ করার আহ্বান জানান হয় ।