আসানসোল শিল্পাঞ্চলে দুদিনে আত্মঘাতী ৭ জন
বেঙ্গল মিরর , রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৭ আগষ্টঃ আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন থানা এলাকায় পৃথক সাতটি ঘটনায় সাতজন আত্মঘাতী হয়েছে। যারমধ্যে ৬ জন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বাকি একজন বাড়ির কুয়োর মধ্যে ঝাঁপিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবব। সবকটি ঘটনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, কোন না কোন কারণে এই সাতজন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণে তারা আত্মঘাতী হয়েছেন। কারোর পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু বা আনন্যাচারাল ডেথের ( ইউডি) মামলা করেছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে সাতজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়।



মৃতরা হলো আসানসোলের কুলটি থানার সন্ন্যাসীস্থানের প্রিতম সিং ((৪৫), কুলটি থানার নিয়ামতপুর নুরনগরের মনসুখ আনসারি (৪৫), আসানসোল উত্তর থানার কল্যানপুর হাউজিংয়ের শেখর বন্দোপাধ্যায় ( ১৯) , রানিগঞ্জ থানার চলবলপুরের সুইটি কুমারী হেলা (১৩), আসানসোল উত্তর থানার সুইডির সুশান পাল (৪০), হিরাপুর থানার বার্ণপুরের বড়দিঘারীর মনোজ বাউরি (৩৮), হিরাপুর থানার বার্ণপুরের নরসিংবাঁধের পুরণচন্দ্র রবিদাস ( ৪৮) ও আসানসোল উত্তর থানার মহুয়াডাঙ্গালের মহঃ সেলিম (৩৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির নুরনগরের মনসুখ আনসারি বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকেদের অজান্তে তিনি কুয়োর মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকেরা জানতে পেরে তাকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ জানায়, সবার বাড়ির লোকেরা ময়নাতদন্তের সময় জানিয়েছেন, তারা মানসিক অবসাদে ভুগছিলো। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণে তারা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
একরাতে আসানসোল ও চিত্তরঞ্জনে চারটি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা, এলাকায় চাঞ্চল্য, তদন্তে পুলিশ
সুধীর কুমার নীলকান্তম আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নতুন কমিশনার