ASANSOL

কুলটি ও সালানপুর থানার একাধিক জায়গায় বালি ও কয়লার অবৈধ কারবারে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ১৭

বেঙ্গল মিরর , রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ২৯ আগষ্টঃ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সালানপুর থানা, রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ি ও কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির কল্যানেশ্বরী, সামডি, আলকুশা, জিৎপুর সহ একাধিক জায়গায় শনিবার রাতে এসিপি ( পশ্চিম) ওমর আলি মোল্লার নেতৃত্বে কয়লা, বালি সহ অন্যান্য অবৈধ কারবারে অভিযাত্রী চালানো হয়। সালানপুর থানার আইসি পবিত্র গাঙ্গুলি, কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ইনচার্জ উৎপল ঘোষাল ও রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুলদেব মণ্ডলের উপস্থিতিতে হওয়া


এই অভিযানে জিৎপুর বালি ঘাট থেকে ৬ হাজার ৪০০ সিএফটি ( কিউবিক ফুট) অবৈধ বালি আটক করা হয়। নারায়ণ মণ্ডল নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে সামডি ও আলকুশায় দুটি কয়লা ডিপোতে হানা দিয়ে পুলিশ ২০টন অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করে। শনিবার রাতে কল্যানেশ্বরী এলাকা থেকে একটি অবৈধ স্ক্র্যাপ ভর্তি মিনি ট্রাক আটক করা হয়। এছাড়া শ্রীরামপুর অবৈধ দেশি মদের ব্যাবসায়ী জিতেন মাহারাকে এদিন রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ব্যক্তিকে ২০টি দেশি মদের বোতল উদ্ধার হয়।

photo কাজল মিত্র


একইভাবে, শনিবার রাতে কুলটি থানার পুলিশ বরাকর নদীর কাছে রক্তা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১০০০ সিএফটি অবৈধ বালি আটক করে। গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। একইসঙ্গে কুলটি থানার বড়িরা গ্রামে এদিন রাতে হানা দিয়ে ১০ টন বেআইনি কয়লা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে জেল হাজতের নির্দেশ দেন।


জানা গেছে, সাইবার ক্রাইম থেকে শুরু করে এলাকায় এলাকায় অবৈধ বা বেআইনি কারবার বন্ধ করতে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার সব থানার আইসি ও ওসিদের এইসব বন্ধ করতে কড়া নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়েছেন, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে অবৈধ ও বেআইনী কারবার ও সাইবার ক্রাইম বন্ধ করা হলো এখন মূল লক্ষ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *