Duare Ration নিয়ে অসন্তুষ্ট ডিলাররা, একাধিক দাবিতে খাদ্য নিয়ামককে স্মারক লিপি দিলো ওয়েষ্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটি
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৭ সেপ্টেম্বরঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষদের বিশেষ রেশন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তৃতীয় বার সরকার গঠনের পরে পশ্চিমবঙ্গের রেশন গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। যার নাম হবে, ” দুয়ারে রেশন “। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সেই রেশন ব্যবস্থা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রকল্প রূপায়িত করতে গেলে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন রেশন ডিলাররা। এছাড়াও রেশন ডিলারদের এই সংক্রান্ত খরচও বাড়বে। কেননা, বর্তমানে তারা যে কমিশন পান, তা দিয়ে দোকান চালানোই কষ্টকর। সেখানে দুয়ারে রেশন কি করে সম্ভব হবে? সরকার এই ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না বলায়, অসন্তুষ্ট রেশন ডিলাররা।
কমিশন বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার আসানসোলের জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার খাদ্য নিয়ামক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পরে পশ্চিমবঙ্গ এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয় । এমআর ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি নেতা মনোজ কুমার অধিকারী বলেন, খাদ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই এদিন বিভিন্ন দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে । তিনি বলেন, ঘরে ঘরে রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাস্তব সমস্যা রয়েছে। যা সরকারকে বুঝতে হবে। অনেক রেশনের সামগ্রী নিয়ে বাড়ি বাড়ি সনাক্তকরণেও বেশ কিছু বাস্তব সমস্যা রয়েছে। যা সরকারকে দূর করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এমন অনেক রেশনের দোকান আছে যেখানে বড় গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আবার দেখা গ্রাহকদের বাড়ি এমন এলাকায় আছে, যেখানে বড় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেই দোকান ও বাড়িগুলিতে কিভাবে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে? সরকার বলেছে আমাদের গাড়ির জন্য এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেব। কিন্তু গাড়ির দাম তো সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা। সেই গাড়ির জন্য আমাদের যে প্রিমিয়াম দিতে হবে তা অনেক বেশি। তার সঙ্গে চালক ও খালাসির বেতন রয়েছে। এছাড়াও অন্য খরচও আছে। জেলা সভাপতি বলেন, এর আগে আমাদের তরফে কমিশন বাড়ানোরও দাবি করা হয়েছিল। আমরা এখন ৭৫ টাকা কমিশন পাই। সরকার বলছে আমাদের সেই কমিশন বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হবে। কিন্তু হিসাব করে দেখেছি, এই কমিশনেও আমাদের কিছু হবে না। আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছি, চালক, খালাসি বেতন, জ্বালানির দাম সহ সবমিলিয়ে কমিশন বাড়িয়ে ৪৫৭ টাকা করা হোক। তা না হলে, আমাদের পক্ষে রেশন ব্যবস্থা চালানো সম্ভব নয়।