মোবাইল গেম খেলতে মায়ের বারণ, অভিমানে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ পরীক্ষা থাকায় মোবাইলে গেম খেলতে মা বাধা দেওয়া ও বারণ করায় বাড়ির মধ্যেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো অষ্টম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। শনিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর পুরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পল্লী এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্কুল পড়ুয়ার পরিবারে। এই ঘটনায় গোটা এলাকার বাসিন্দারা হতচকিত। মৃত স্কুল পড়ুয়ার নাম রাস রাউত (১৫)। জানা গেছে, মৃত রাস রাউত দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো । দুর্গাপুর পুরনিগমের ১৪ নং ওয়ার্ডের বেনাচিতি সংলগ্ন নতুনপল্লী এলাকায় বাসিন্দা রাসের বাবা পেশায় ট্রাক চালক। অভাবের সংসারে কষ্ট করেও রাউত দম্পতি ছেলেকে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেছিলেন।
এখন তার অনলাইনে পরীক্ষা চলছিলো। তার মধ্যে
শনিবার রাস মোবাইলে একটি গেম ডাউনলোড করে খেলছিলো। তা মা দেখতে ছেলেকে মোবাইল রেখে পড়ার কথা বলে। তা শুনে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় রাস। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করার পরেও বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে কোন সাড়া মেলেনি। শেষ পর্যন্ত বন্ধ দরজা ভাঙতেই রাসের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা । ঘটনার কথা জানতে পেরে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসেন। রাশের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে দেহের ময়নাতদন্ত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে হয়।
রাসের দিদি নেহা রাউত বলেন, ভাই মোবাইলে একটা গেম ডাউনলোড করে খেলছিলো। মা তা দেখতে পেয়ে পরীক্ষার জন্য গেম না খেলে পড়াশোনা করতে বলে। তারপর ভাই ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। মায়ের বারণ শুনে ভাই এমন করবে বুঝতে পারিনি। মা খুব ভেঙে পড়েছে। বারে বারে অনলাইন মোবাইল গেমের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে একের পর এক । স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের জানায়, মা গেম খেলতে বারণ করায় ঐ স্কুল পড়ুয়া অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে।